বেকহামকে বাবার জায়গায় বসাবেন এমবাপ্পে?
>নতুন পেশায় ঢুকেছেন কিংবদন্তি ফুটবলার ডেভিড বেকহাম। এখন থেকে খেলোয়াড়দের দূতিয়ালি করতে দেখা যাবে তাঁকে। এ উদ্দেশ্যে নতুন এক কোম্পানিও খুলেছেন তিনি। আর মক্কেল হিসেবে তাঁর মনে ধরেছে পিএসজির ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে
খবরটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য বেশ স্বস্তির। কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে টানতে গত দুই বছর ধরেই পরিকল্পনা করছে তারা। কোচ জিনেদিন জিদানের অন্যতম পছন্দের খেলোয়াড় তিনি। এখন জানা গেছে, রিয়াল মাদ্রিদেরই সাবেক তারকা খেলোয়াড়, জিদানের এককালের সতীর্থ ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেভিড বেকহাম এমবাপ্পের দূত হতে চাইছেন। তেমন হলে তো রিয়ালেরই লাভ!
প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই কেউ না কেউ মুখপাত্র থাকেন। লিওনেল মেসির মুখপাত্র যেমন তাঁর বাবা হোর্হে মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দূত হোর্হে মেন্ডেজ। ওদিকে নেইমারের দূত তাঁর বাবা নেইমার সিনিয়র। ইব্রাহিমোভিচ, ম্যাথিস ডি লিখট, পল পগবা, রোমেলু লুকাকু কিংবা মার্কো ভেরাত্তিদের মতো তারকাদের মুখপাত্র আবার মিনো রাইওলা। ক্লাবের সঙ্গে খেলোয়াড়দের চুক্তি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের লেনদেন ইত্যাদি দেখভাল করেন দূতরা।
খেলোয়াড় ক্লাব ছাড়তে চাইলে বা চুক্তির মেয়াদ ও বেতনের পরিমাণ বাড়াতে চাইলে দূতরাই খেলোয়াড়দের মুখপাত্র হয়ে ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন, আলাপ-আলোচনা করেন। বিনিময়ে চুক্তির একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকেন তাঁরা। মিনো রাইওলা, হোর্হে মেন্ডেজ, পেপ গার্দিওলার ভাই পেরে গার্দিওলা, কিয়া জুরাবখিয়ান, নেইমার সিনিয়র, এইডি ওয়ার্ড—এসব দূতদের কল্যাণে এ পেশাটাও বেশ লাভজনক পেশায় রূপ নিয়েছে গত কয়েক বছরে। এ পেশাতেই সম্প্রতি নাম লিখিয়েছেন ডেভিড বেকহাম।
নিজের প্রথম ‘হাই-প্রোফাইল’ মক্কেল হিসেবে বেকহামের পছন্দ হয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। এখন বেকহাম যদি আসলেই এমবাপ্পের দূত হয়ে যান, তাহলে এমবাপ্পেকে রিয়ালে আনার কাজটা রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের জন্য বেশ সহজ হয়ে যাবে, হাজার হোক, ডেভিড বেকহামের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার পেছনে রিয়াল মাদ্রিদেরও তো হাত আছে!
খেলোয়াড়দের দূত হওয়ার জন্য এর মধ্যেই ‘ফুটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড’ নামের একটি দূতিয়ালি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে তাঁর লাইসেন্স জোগাড় করে ফেলেছেন বেকহাম। এই কোম্পানিতে বেকহাম ছাড়াও পরিচালক হিসেবে আছেন দুই বন্ধু ডেভ গার্ডনার ও নিকোলা হাউসন। নটিংহ্যাম ফরেস্টের সাবেক স্ট্রাইকার ডেভিড জনসনও আছেন বেকহামের সঙ্গে।
নেইমার, মেসির মতো এমবাপ্পের বাবাও তাঁর দূতিয়ালির কাজটা করে থাকেন। আর তাঁদের আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন প্যারিসের এক আইনজীবী—দেলফাঁ ভারহাইদেন। দেখা যাক, বাবাকে সরিয়ে এমবাপ্পে বেকহামকে নিজের দূতিয়ালি করার দায়িত্ব দেন কি না!