বার্সেলোনার কাছে ক্ষমা চাও, নেইমারকে রিভালদো
>পিএসজিতে আর মন বসছে না নেইমারের। আবার বার্সেলোনায় আসার জন্য উতলা হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি যাওয়ার সময় সাবেক ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক যেমন তিক্ত করে গিয়েছিলেন, বার্সেলোনা সবকিছু ভুলে তাঁকে ফেরত নেবে তো? সাবেক ব্রাজিল কিংবদন্তি রিভালদো বলেছেন, ফিরতে হলে বার্সেলোনার কাছে নেইমারকে ক্ষমা চাইতে হবে।
ভালোবাসার শহর বলে খ্যাত প্যারিস। আইফেল টাওয়ার থেকে শুরু করে গোটা শহরে রোমান্টিকতার নানান উপাদান ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে যেন। বলা হয়, ভালোবাসাহীন নীরস কোনো মানুষও প্যারিসে গেলে প্রেমে পড়তে বাধ্য। সেই প্যারিসেই কিনা নেইমার ভালোবাসা খুঁজে পাচ্ছেন না!
পিএসজিতে একদমই থাকতে চাইছেন না নেইমার; অদ্ভুত এক ভালোবাসাহীনতায় ভুগছেন বলে। ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়ছে মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে থাকার মধুর সেই দিনগুলোর কথা। পুরোনো প্রেম বার্সেলোনায় ফিরে যেতে চাইছেন তিনি। এক বছর ধরেই দলবদলের বাজারকে স্বস্তি দিচ্ছেন না নেইমার। আজ রিয়াল মাদ্রিদ তো পরদিন বার্সেলোনায় যাচ্ছেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। এ দলবদলের বাজারে সে তুলনায় একটু পানসে সময় কাটাচ্ছেন। যত গুঞ্জন, সবই বার্সেলোনা ঘিরে। স্প্যানিশ-ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো সরগরম এ নিয়ে। কিন্তু চাইলেই কি আর হয়? যেভাবে সম্পর্ক তিক্ত করে বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন, এত কিছুর পর বার্সেলোনা তাঁকে নেবেই-বা কেন? এ জন্য বার্সেলোনার সাবেক ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রিভালদো জানিয়েছেন, ইচ্ছে পূরণ করতে চাইলে বার্সেলোনার কাছে নেইমারকে ক্ষমা চাইতে হবে।
বার্সেলোনার সমর্থকদের মন পাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার বিকল্প নেই, মনে করছেন রিভালদো, ‘ওকে আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ওকে বলতে হবে, ও যা করেছে ভুল করেছে। ওকে বলতে হবে, বার্সাই ওর একমাত্র ভালোবাসা, ওর ঘর। আশা করি, সব ভক্ত না হলেও অনেক ভক্তই ওর মনের অবস্থা বুঝতে পারবে তখন। এরপর লিগে ও চ্যাম্পিয়নস লিগে সমর্থকেরা যখন বার্সার জার্সি গায়ে নেইমারকে মাঠ মাতাতে দেখবে, তখন আস্তে আস্তে সবাই ওকে এমনিতেই মাফ করে দেবে।’
নেইমারের প্রতি এখন বার্সা-সমর্থকদের ক্ষোভ থাকলেও বার্সার জার্সি গায়ে নিয়মিত নেইমারের ঝলক দেখলে সেই ক্ষোভ দ্রুতই ভালোবাসায় রূপ নেবে—এমনটাই আশা করছেন রিভালদো, ‘যেভাবে নেইমার বার্সা ছেড়েছিল, সে কথা মনে করে অনেক ভক্তই ওর ওপর বিরক্ত। কিন্তু ফুটবল এমনই। ও যদি এসে যায়, স্বাভাবিকভাবেই অনেক ভক্ত ওর সমালোচনা করবে। কিন্তু মাঠে বা অনুশীলনে আমরা সেই একই খেলোয়াড় নেইমারকে দেখতে পারব প্রতিদিন!’