বার্সার বিদায় মেনে নিতে পারছেন না গ্রিজমান
ঘরের মাঠে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ৪-১ ব্যবধানে হার। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ফিরতি লেগে ঘুরে দাঁড়াতেই হতো। প্রতিপক্ষের মাঠে কাল রাতে তা সম্ভব হয়নি, ১-১ গোলে ড্র করে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে বার্সা।
ফিরতি লেগের স্কোরলাইন কাতালান ক্লাবটির লড়াইকে ঠিক বোঝাতে পারছে না। পিএসজির মাঠে কাল দারুণ খেলেছে বার্সা, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। এমন লড়াই করেও বিদায় নেওয়াটা ঠিক মেনে নিতে পারছেন না বার্সা ফরোয়ার্ড আঁতোয়ান গ্রিজমান।
ঘুরে দাঁড়ানোর এই লড়াইয়ে শুরুতেই আরও পিছিয়ে পড়ে বার্সা। ৩০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পিএসজির শেষ আটে ওঠা দৃশ্যত নিশ্চিত করে ফেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন মেসি-গ্রিজমানরা।
লিওনেল মেসি পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেও দারুণ খেলেছেন। ২৫ গজ দূর থেকে চোখ ধাঁধানো শটে গোল করে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণাও জাগিয়ে তুলেছিলেন মেসি।
কিন্তু এরপর আর গোল করতে পারেনি বার্সা। প্রথমার্ধে খুব ভালো খেলেও আরও গোল আদায় করতে না পারার ব্যর্থতা পোড়াচ্ছে ফরাসি তারকাকে।
ম্যাচের ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেছিল বার্সা। পিএসজির গোলপোস্ট তাক করে মোট ১০টি শট নিয়েও একটির বেশি গোল পায়নি রোনাল্ড কোমানের দল। গ্রিজমানের দুঃখ আরও প্রকট হয়েছে সের্হিনিও দেস্তের শট গোলপোস্টে লাগায় ও মেসি পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারায়।
সংবাদমাধ্যমকে গ্রিজমান বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে এত দ্রুত বিদায়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল না, সমর্থকদের জন্যও নয়। কিন্তু এটাই বাস্তবতা।’
মেসির মতো তারকা সঙ্গে নিয়ে, ম্যাচের অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখেও বিদায় নেওয়ায় কষ্ট লাগছে গ্রিজমানের, ‘সে (মেসি) ছিল, বলও (বেশির ভাগ সময়) দখলে ছিল। আমরা জানতাম সুযোগ পাব। কিন্তু সেসব কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। তবে মৌসুম শেষ হতে এখনো অনেক পথ বাকি।’
বার্সার খেলার প্রশংসার পাশাপাশি পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসেরও স্তুতি করেন গ্রিজমান, ‘রক্ষণ কীভাবে সামলাতে হবে, সেটা তারা জানে না। লিওর দুর্দান্ত সেই গোল এবং পেনাল্টিটা। কিন্তু নাভাস ছিল অসাধারণ। আমরাও বড় একটা ম্যাচে ভালো খেলেছি, বিশেষ করে প্রথমার্ধে।’
মেসির পেনাল্টিসহ ম্যাচে মোট ৯টি ‘সেভ’ করেন নাভাস।