নেইমারও জেতাতে পারলেন না ব্রাজিলকে
>ম্যাচের প্রথমভাগে নেইমার ছিলেন না। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেও ব্রাজিলের হার এড়াতে পারলেন না এই তারকা
পেরুর মতো খর্ব শক্তির দলের বিপক্ষে ম্যাচ বলেই কি না ম্যাচের মূল একাদশে নেইমারকে রাখলেন না ব্রাজিল কোচ তিতে। আক্রমণভাগে সুযোগ হলো আয়াক্সের ডেভিড নেরেস, এভারটনের রিচার্লিসন, লিভারপুলের রবার্তো ফিরমিনো ও বায়ার্নের ফিলিপ কুতিনহোর। তাদের দিয়ে গোলমুখ খুলতে পারেনি ব্রাজিল। নেইমার দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামলেও লাভ হয়নি। উল্টো ৮৪ মিনিটে গোল খেয়ে পেরুর বিপক্ষে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল।
গোটা ম্যাচেই ব্রাজিল ছিল ছন্নছাড়া। বিচ্ছিন্ন ভাবে দুই একটা সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলেও, গোল করার জন্য যথেষ্ট ছিল না সেগুলো। মাঠ ছিল অত্যন্ত দ্রুতগতির, ফলে বল নিয়ন্ত্রণে হ্যাপা পোহাতে হয়েছে দুই দলের খেলোয়াড়দেরকেই।
মিডফিল্ডে ব্রাজিলের আর্থার মেলো না থাকার অভাবটা টের পাওয়া গেছে বেশ ভালোভাবেই। রিয়ালের কাসেমিরো, নাপোলির অ্যালান বা বায়ার্নের কুতিনহোর কেউই মিডফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখতে পারেননি। প্রথমার্ধে নেইমার না থাকায় নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করে গেছেন রিচার্লিসন আর ফিরমিনো। গত বছর বার্সার জার্সি গায়ে যেমন নিষ্প্রভ থাকতেন কুতিনহো, এ ম্যাচেও সেই কুতিনহোকেই দেখা গেছে। ওদিকে নেরেস গোল করার একটা সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালানও গোল করার আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন। দলের খেলার এই অবস্থা দেখে দ্বিতীয়ার্ধে গোটা আক্রমণভাগটাই বদলে দেন কোচ তিতে। ফিরমিনো, নেরেস, রিচার্লিসন, কুতিনহো সবাইকে বদলে মাঠে নামানো হয় যথাক্রমে নেইমার, ভিনিসিয়ুস, লুকাস পাকেতা ও ব্রুনো হেনরিকে কে। তাতে ব্রাজিলের খেলা আরেকটু ক্ষুরধার হলেও গোলের দেখা পাননি নেইমাররা।
উল্টো ৮৪ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসনের একটা শিশুতোষ ভুলে পেরুর ডিফেন্ডার লুই আবরাম গোল করে বসেন। শত চেষ্টা করেও সে গোলটা আর শোধ করতে পারেননি নেইমাররা। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে।
গত এক বছরের মধ্যে এই প্রথম হারল ব্রাজিল, টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর এল এই পরাজয়। তিতের অধীনে এই নিয়ে তিনবার হারল তারা। আর গত ৪৬ বছরে পঞ্চমবারের মতো পেরুর কাছে হারল সেলেসাওরা।