মুন্সিগঞ্জ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গত রোববার শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষে ১–০ গোলে হারে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচটির মীমাংসা করে দেওয়া গোলটি এসেছিল বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে।
রিয়াদুল হাসানের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে বক্সের মধ্যে পড়ে যান শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ জুয়েল। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
ম্যাচ চলাকালে পেনাল্টির প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সাইফের খেলোয়াড়েরা। ম্যাচ শেষে পেনাল্টির নিন্দা জানিয়ে রেফারিকে ঘিরে ধরেছিলেন ক্লাবটির কিছু খেলোয়াড়।
অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া রেফারিকে লাথি মেরেছেন, এ অভিযোগ ম্যাচের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে জমা দিয়েছেন রেফারি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সাইফকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে বাফুফে। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবও রেফারির বিরুদ্ধে বাফুফেকে একটি চিঠি দিয়েছে।
নোটিশে জামালের লাথি মারার অভিযোগ ছাড়াও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও দলীয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অসদাচরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জামালের ব্যাপারে লেখা হয়েছে, ‘দলের অধিনায়ক (জামাল) রেফারিকে লাথি মারলে রেফারি সরে যাওয়ায় তা সহকারী রেফারি মোহাম্মদ জুনায়েদ শরীফের গায়ে লাগে।’ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের বিপক্ষে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? আগামী মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে এর ব্যাখ্যা চেয়েছে বাফুফে।
লাথি মারার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম আলোকে জাতীয় দল ও সাইফের অধিনায়ক জামাল বলেন, ‘রেফারিকে লাথি মারিনি। স্পর্শও করিনি তাঁকে। আমি যদি সেটা করতাম, তাহলে তো তিনি আমাকে কার্ড দেখাতেন। এমন কিছু হয়নি বলেই তো সে আমাকে কার্ড দেখাননি।’
নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ শেষেও খেলোয়াড়কে অসদাচরণের জন্য কার্ড দেখাতে পারেন রেফারি। ম্যাচের ভিডিও ফুটেজেও দেখা যায়নি সাইফের কোন খেলোয়াড় রেফারিকে লাথি মেরেছেন।