চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নিয়ে রামোস-ফিরমিনো বাহাস
বিশ্বকাপ প্রায় এসেই পড়েছে। ফুটবল দুনিয়ার মনোযোগ এখন সরে গেছে সেদিকেই। বিশ্বকাপে কোন দল কেমন, কোন খেলোয়াড় কেমন করবেন—আলোচনা এখন এ নিয়েই। তবে এই ডামাডোলের মধ্যেও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল থেকে নিজেকে কিছুতেই বাইরে বের করতে পারছেন না সার্জিও রামোস। লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ তাঁর ফাউলের স্বীকার হয়েই বেরিয়ে যান মাঠের বাইরে। ফাউলটি এমনই ছিল যে মিসরের হয়ে সালাহর বিশ্বকাপ স্বপ্নও বসেছে ফিকে হতে। সেই ফাউলেরই জের টেনে যাচ্ছেন স্পেন তারকা। তবে এ নিয়ে বেশ বিরক্ত রামোস নিজে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাস গড়ার ৩-১ গোলের জয়টাতে তাদের খেলোয়াড়দের পাশাপাশি লিভারপুল গোলরক্ষক কারিয়াসেরও অবদান কম নয়। তাঁর ছেলেমানুষি দুই ভুলে দুটি গোল পায় রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তিন দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের একটি হাসপাতাল জানাল রামোসের ধাক্কাতেই লিভারপুল গোলকিপার লরিস কারিয়াস মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। সে কারণেই তিনি ক্ষণিকের জন্য স্বাভাবিকতা হারিয়েছিলেন। ফাইনালে কারিয়াস যে দুটি হাস্যকর ভুল করেছিলেন, সে জন্য রামোসের সেই ধাক্কার অনেক অবদান আছে বলে মনে করছেন অনেকেই। কেউ কেউ তো আবার আরেক কাঠি সরেস। পিটিশন সই করতে নেমে পড়েছেন যেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল যেন আবারও আয়োজন করা হয়।
পুরো ব্যাপারটাতেই খেপেছেন রামোস। সংবাদমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি, বলেন, ‘সালাহর চোট নিয়ে অনেক জল ঘোলা করেছেন আপনারা। অথচ আমি বারবার বলছি যে সেদিন সালাহই আমার হাত জড়িয়ে ধরেছিল। মাটিতে উল্টোভাবে পড়ে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে চোটে পড়েছে। আমাকে বলা হচ্ছে আমি সালাহর ওপর জুডোর প্যাঁচ কষেছি। এখন শুনছি আমার সঙ্গে ধাক্কা লেগে কারিয়াসের মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এরপর কী? ফিরমিনোই সম্ভবত বলতে বাকি রেখেছে যে আমার শরীরের ঘাম লেগে ওর ঠান্ডা লেগে গিয়েছে।’
কথাটা মজা করে বললেও ব্রাজিলীয় তারকা রবার্তো ফিরমিনো তা পছন্দ করেননি। রামোসের এই কৌতুকের কড়া সমালোচনাই করেছেন তিনি, ‘রামোস চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলে সে অনেক কিছুই বলতে পারে। তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তবে সে যা বলেছে, তাতে তাঁকে আমার নির্বোধ মনে হচ্ছে। ওর কথায় আমার কিছু আসে–যায় না।’