ঘাম ঝরিয়েই জিততে হলো রিয়ালকে
রিয়াল বেটিসের মাঠের জয়টা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। জয় নিয়ে নয়, রিয়াল মাদ্রিদের খেলার ধরন নিয়ে। এতটা নেতিবাচক ফুটবল গত ছয় বছরে খেলেনি রিয়াল। আজ বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলা নিয়ে সে ধরনের কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না। শুরু থেকেই সেভিয়াকে চেপে ধরেছে দলটি। খেলেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। তবু জিততে ঘাম ঝরেছে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের। একজন গোল স্কোরারের অভাব বুঝিয়ে দেওয়া এক ম্যাচ ছিল এটি। শেষ পর্যন্ত দুই মিডফিল্ডারেই উদ্ধার পেল রিয়াল। সেভিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিগে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা।
ম্যাচের ৭৮ মিনিট পর্যন্ত শুধু হায় হুতাশই শোনা গেছে। প্রথমার্ধে আক্রমণে এগিয়ে থাকলে গোলের সেরা সুযোগটি সৃষ্টি করেছিল সেভিয়াই। থিবো কোর্তোয়া সময়মতো বেরিয়ে এসে গোলমুখকে আড়াল করে না ফেললে রিয়াল প্রথমার্ধেই পিছিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ম্যাচের নাটাই বুঝে নিয়েছে রিয়াল। একের পর এক আক্রমণ করে গেছে দলটি। কিন্তু সেভিয়ার রক্ষণ খুলতে পারছিল না কোনোভাবেই। দানি সেবায়োস একবার রক্ষণকে পরাস্ত করেছিলেন, কিন্তু গোলার মতো শটটি গিয়ে লাগল ক্রসবারে। সেভিয়া গোলরক্ষক ভ্যাসিলিক তাই ভালোবাসার চুমু এঁকে দিয়েছেন সে বারে।
গোল পেতে হলে অসাধারণ কিছু করতে হতো রিয়ালকে। ৭৮ মিনিটে কাসেমিরোই সেটাই করলেন। সার্জিও রেগুলিনের কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন কাসেমিরো। এর আগে বার কয়েক শট নিয়েছিলেন বক্সের বাইরে থেকে। সেগুলো লক্ষ্যে যায়নি। এবার অবশ্য তাঁর শটটি ঠিকই বারের ওপরের কোনার দিকে ছুটে গেল বুলেট গতিতে। ভ্যাসিলিকের গ্লাভসের ছোঁয়াও জালে আশ্রয় নেওয়া ঠেকাতে পারল না বলের।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে আরেকটি প্রতি আক্রমণে সেভিয়া রক্ষণকে একা পেয়ে ছুটছিলেন করিম বেনজেমা। মাঝমাঠ পেরোনোর আগেই তাঁকে বল দিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। অফ সাইড হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তবু রেফারির বাঁশি তাঁকে থামিয়ে দিল। ঠিক কী কারণে রেফারি বাঁশি বাজিয়েছেন সেটা ধারাভাষ্যকররা অনেকক্ষণ বিশ্লেষণ করেও বের করতে পারলেন না। রিয়াল ডি-বক্সে কোনো ফাউলের ঘটনায় সেটা থামানোর ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন রেফারি, কিন্তু বারবার রিপ্লে দেখেও তার প্রমাণ মেলেনি। রিয়ালকে তাই এক গোলেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে বলে মনে হচ্ছিল।
৯২ মিনিটে ক্যারিসোর মুহূর্তের অসাবধানতা সেটা ভুল প্রমাণ করেছে। ইসকোর কাছ থেকে কেড়ে পাওয়া বলটা কাকে দেবেন সে সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই কেড়ে নিলেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা লুকা মদরিচ। গোলরক্ষককে একা পেয়ে ব্যবধান বাড়াতে একটুও ভুল করেননি ২০১৮ সালের বর্ষসেরা ফুটবলার।