খেলোয়াড় কেনার জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেন ম্যানসিটির মালিক!
>ম্যানচেস্টার সিটিতে একের পর এক খেলোয়াড় কেনার জন্য গার্দিওলা টাকা কীভাবে পান, সেটার ব্যাপারে একটা চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন গার্দিওলার সাবেক ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের সভাপতি হোয়েনেস।
বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হয়েছেন, তাও মোটামুটি তিন বছর হয়ে গেল। এই তিন বছরে ম্যানচেস্টার সিটির চেহারাই বদলে দিয়েছেন কোচ পেপ গার্দিওলা। এই তিন বছরে নিজের দর্শনের সঙ্গে যায়—এমন খেলোয়াড় কিনতে এক বিলিয়নের পাউন্ডের বেশি খরচ করেছেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটির টাকার কুমির মালিকপক্ষও সন্তুষ্ট। কেননা, টাকা যতই খরচ হোক না কেন, গার্দিওলা শিরোপা ঠিকই এনে দিচ্ছেন। এই অবস্থায় গার্দিওলা কীভাবে খেলোয়াড় কেনার জন্য এত টাকা পান, সে ব্যাপারে একটা চমক–জাগানিয়া তথ্য দিয়েছেন উলি হোয়েনেস।
হোয়েনেস বায়ার্ন মিউনিখের সভাপতি। যে বায়ার্ন মিউনিখের কোচ ছিলেন গার্দিওলা, সিটিতে আসার আগে। ফলে এখনো গার্দিওলার সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক আছে এই জার্মান কিংবদন্তির। হোয়েনেসের বক্তব্য, খেলোয়াড় কেনার জন্য কীভাবে সিটির মালিক শেখ মনসুর আল নাহিয়ানকে পটিয়ে ফেলেন গার্দিওলা, সে কৌশল গার্দিওলা হোয়েনেসকে বলেছেন। কী সেই কৌশল?
‘আমার বন্ধু পেপ (গার্দিওলা) আমাকে একবার বলেছিল ১০০ মিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি দামের কোনো খেলোয়াড় কিনলে সিটির মালিক মনসুর আল নাহিয়ান কী করে, সে ব্যাপারে। ১০০ মিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি দামের কোনো খেলোয়াড়কে গার্দিওলা সিটির জন্য কিনতে চাইলে প্রথমে গার্দিওলা সেই খেলোয়াড়ের ভালো খেলার একগাদা ভিডিও ক্লিপ জোগাড় করে। তারপর সেই ভিডিও ক্লিপগুলো নিয়ে সে মনসুরের সঙ্গে দেখা করতে যায়। মনসুরের সঙ্গে কথাবার্তা বলে একসঙ্গে খাবার খেতে বসে তারা। তখনই গার্দিওলা ভিডিওগুলো চালু করে দেয়, যাতে খেতে খেতে মনসুর সে ভিডিওটা দেখতে পারে। পরে খেলোয়াড়ের কারিকুরি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলে সিটির অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠিয়ে দেয় মনসুর। খেলোয়াড়কে কিনতে যে বাড়তি খরচ হলো, সেই অর্থ আবার ফিরে পাওয়ার জন্য মনসুর পরের দিন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেয়! ফলে অনায়াসে পকেট ভারী হয়ে যায় তার!’
হোয়েনেসের কথা মানলে বলতে হয়, রিয়াদ মাহরেজ, কেভিন ডে ব্রুইনিয়া, আয়মেরিক লাপোর্তে, কাইল ওয়াকার প্রমুখ খেলোয়াড়কে কিনতে এই ‘পদ্ধতি’ অবলম্বন করেছেন গার্দিওলা!