খেলা ফেলে খেলোয়াড় বাথরুমে, পেছন পেছনে গেলেন কোচও
দিন শেষে খেলোয়াড়েরাও তো মানুষ। তাঁদেরও প্রকৃতি ডাক দিতে পারে যখন-তখন। অনেক সময় পুরো প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে নামার পরেও প্রকৃতির ডাকে সাড়া না দিয়ে পারা যায় না। খেলা-টেলা ফেলে ছুটতে হয় বাথরুমে। যেমনটা হয়েছে গত রাতে। নিজেদের মাঠে চেলসির বিপক্ষে ইংলিশ লিগ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল টটেনহাম। সেন্টারব্যাক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ইংলিশ তারকা এরিক ডায়ার। এই অবস্থায় হুট করে ডাক দিল প্রকৃতি!
ম্যাচের বয়স তখন ৭৬ মিনিট। দেখা গেল, হুট করে মাঠ থেকে উঠে এলেন ডায়ার। মাঠে ছেড়ে সোজা ড্রেসিংরুমে ঢুকলেন। কোচ জোসে মরিনিও-ও বুঝলেন না, ঘটনাটা কী! পেছন পেছন ছুটলেন তিনিও। ততক্ষণে হাসির রোল পড়ে গেছে ধারাভাষ্য কক্ষে। আর পড়বে না-ই বা কেন? খবর রটে গেছে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্যই ডায়ারের এত ‘আয়োজন’!
যাই হোক, যেমন দৌড়াতে দৌড়াতে ঢুকেছিলেন, তেমন দৌড়াতে দৌড়াতেই বের হয়ে আসলেন দেড় মিনিট পর। ওই দেড় মিনিট অবশ্য টটেনহামকে দশ জন নিয়েই খেলতে হয়েছে। তটস্থ সময় কেটেছে সমর্থকদের, পাছে গোল না খেয়ে বসে স্পার্স! সেটা হয়নি কপাল ভালো।
তবে গোল না খেলেও কোচ যে ডায়ারের এ ব্যাপারে খুব খুশি হননি তা ডায়ার নিজেই নিশ্চিত করেছেন, মরিনিও খেপেছেন ভালোই, 'উনি খুশি হননি। কিন্তু আসলে আমার কিছুই করার ছিল না, প্রকৃতি ডাকছিল আমাকে! আমি শুনলাম আমি যতক্ষণ ছিলাম না চেলসি বলে তখন একটা সুযোগ পেয়েছিল, কপাল ভালো সে সুযোগে গোল হয়নি। আমরা জিতে মাঠ ছাড়তে পেরেছি।'
পরে মরিনিও-ও বুঝেছেন বিষয়টা। শোনা যাচ্ছে, ডায়রিয়ায় ভুগছেন ডায়ার। যে কারণে এমনটা হতে পারে। মরিনিওর কথাতেও ডায়ারের পানিশূন্যতার কথাই ফুটে উঠেছে, 'ওকে যেতেই হতো। আমি জানতাম ওকে আসলেই যেতে হতো (বাথরুমে)। আপনি যদি একদমই পানিশূন্য অবস্থায় থাকেন, পেশিগুলো যদি কাজ না করে, তাহলে এমনটা হতে পারে আসলে। ডায়ারেরও তেমনটাই হয়েছিল।'
মরিনিও যদিও বুঝেই থাকেন, তাহলে খেলোয়াড়ের পেছন পেছন ড্রেসিংরুমে ছুটলেন কেন? সেটার ব্যাখ্যাও ছিল তাঁর কাছে, 'আমি জানতাম ওকে যেতেই হতো, তাও আমি ওকে কিছুটা চাপে রাখতে চেয়েছিলাম। যাতে ও তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরতে পারে।'
নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকা ম্যাচটায় পরে ডায়ার-মরিনিওর টটেনহামই জিতেছে, পেনাল্টি শুটআউটে। ম্যাচ জিতে লিগ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে তাঁরা।