কোথায় হারিয়ে গেলেন নেইমারের চেয়েও প্রতিভাবান সেই গানসো
তাঁর ড্রিবলিংয়ে অলস একটা সৌন্দর্য আছে, বলে প্রথম স্পর্শটা পাবলো পিকাসোর তুলির আঁচরের মতো কোমল! একই সঙ্গে তাঁর সঠিক পাস দেওয়ার অতিমানবীয় সামর্থ্য আছে। আর আছে দূর থেকে নিখুঁত শট নেওয়ার দক্ষতা। পাওলো হেনরিক গানসোকে নিয়ে ফুটবলবোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরা এ রকমই বলতেন।
ব্রাজিলের ফুটবলের এই সময়ের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন নেইমার। কিন্তু নেইমারকে চেনারও বছর কয়েক আগে ফুটবল বিশ্ব শুনেছে গানসোর নাম। গানসো আর নেইমার একই সঙ্গে সান্তোসে খেলেছেন। সেখানে দুজনের খেলা দেখে নেইমারের চেয়েও গানসোকে এগিয়ে রাখতেন ফুটবলবোদ্ধারা। ফুটবলপাগল ব্রাজিলিয়ানরা গানসোর মাঝে খুঁজে পেতেন কাকার ছায়া। জিকো, সক্রেটিস, রোনালদিনিও, কাকা...ব্রাজিলের ফুটবলের কিংবদন্তি প্লেমেকারদের যোগ্য উত্তরসূরি মনে করা হতো তাঁকে।
কিন্তু গানসোর নাম আপনি সর্বশেষ কবে শুনেছেন, বলতে পারবেন? মনে নেই তো! কিন্তু সত্যি এটাই যে ব্রাজিলের মিডফিল্ডার গানসো এখনো অবসর নেননি, তাঁর বয়সও খুব বেশি নয়, মাত্র ৩১ বছর। কিন্তু তাঁর তারকা তকমাটা বুড়িয়ে গেছে অনেকটাই। সান্তোস, সাও পাওলো, সেভিয়ার সাবেক তারকা এখন অনেকের চেয়েই পেছনে পড়ে গেছেন।
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে গানসোর নাম লিখে খোঁজ করলে দেখবেন গানসো ফ্লুমিনেন্সে খেলছেন। রিও ডি জেনেইরোর শীর্ষ ক্লাবগুলোর একটি এটা। হয়তো আপনি গানসোর কয়েক মৌসুমের খেলার কিছু হাইলাইটসও দেখতে পাবেন। এই ভিডিও দেখেই হয়তো বুঝতে পারবেন, তিনি কত বড় প্রতিভাবান। পাস দেওয়ার জন্য মাঠে সঠিক খেলোয়াড়টি বেছে নেওয়ার সামর্থ্য তাঁর অসাধারণ। এর সঙ্গে বলে অপার্থিব প্রথম স্পর্শ তো আছেই। যেটি তাঁকে এককথায় অনন্য করে তুলেছিল।
এসবের মধ্যেই আবার একটি জিনিস চোখে পড়বে আপনার। মানে, ফুটবলারদের কাছ থেকে আপনি যেটা চাইবেন—দৌড়, সেটা দেখতে পাবেন না! গানসো বলের জন্য দৌড়াচ্ছেন—এ দৃশ্য যদি তাঁর ফুটেজ দেখে খুঁজেও পান, তা–ও খুবই কম। ৯০ মিনিটে হয়তো দু–চারবার! গানসোর দৌড়ানোর দিনগুলো অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। সেগুলো আসলে চাপ পড়েছে একের পর এক হাঁটুর অস্ত্রোপচারে। ফুটবল এখন অনেক গতিময়। এই গতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে অনেক প্রতিভাই তাঁদের ছায়ায় পরিণত হয়েছেন।
গানসো আর নেইমারকে নিয়ে ফুটবল বিশ্বে যে গল্পটা এখনো মানুষ বলে বেড়ায়, সেটা এ রকম—তাঁরা দুজনে আগের মতো এখনো সেরা বন্ধু হয়ে আছেন! এ জুটি এক সঙ্গে সান্তোসে বেড়ে উঠেছেন। মাঠ ও মাঠের বাইরে দুজনে ছিলেন খুব কাছাকাছি। প্রতিভার দিক থেকেও তাই। কিন্তু খেলার প্রসঙ্গ এলে এখন দুজনের দূরত্ব কত? নেইমার কোথায় আছেন, আর গানসোই–বা কোথায়! নেইমার তাঁর অসাধারণ ফুটবলে ইউরোপ মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন। স্পেন থেকে পাড়ি জমিয়েছেন ফ্রান্সে। পিএসজি ফরোয়ার্ডের ঠিকানা এখন প্যারিস। আর গানসো সেই ব্রাজিলেই পড়ে আছেন।
অথচ একটা সময় কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান তারকাদের নজর কীভাবেই না কেড়েছিলেন গানসো! নিজের প্রতিভার সার্থক প্রকাশ ঘটাতে না পারা গানসোকে নিয়ে হতাশা ঝরে কিংবদন্তি তোস্তাওয়ের কণ্ঠে। তিনি মাঝেমধ্যেই বলেন, ‘আমি গানসোর সেই রূপটা মিস করি, যেটা এখন আর নেই।’
গানসো যখন তাঁর সেরা রূপে ছিলেন, তখন তিনি ছিলেন ব্রাজিলের ফুটবলে চায়ের টেবিলে ঝড় তোলা এক নাম। তিনি মাঠে এমন কিছু করতেন, যা কি না তাঁর প্রজন্মের অন্য কেউ কোনোভাবেই করতে পারতেন না! রেশমের মতো পেলব ছিল তাঁর ফুটবল খেলার স্টাইল। ব্রাজিলের প্রাদেশিক চ্যাম্পিয়নশিপে এমন ফুটবল তাঁর সেরা ছন্দে থাকার সময়ে ছিল না। ব্রাজিলের ফুটবল থেকে বিলুপ্ত হতে চলা সাম্বার ছন্দটা দেখা যেত গানসোর ফুটবলে।
মাঠে বল যেখানে থাকত, গানসো যেন সেখানেই থাকতেন। তাঁর পায়ে বল যাওয়া মানেই ম্যাচের গতি যেত বদলে, ছন্দ যেত পাল্টে। বল পেয়ে প্রথমেই তিনি অলস ভঙ্গিতে পুরো মাঠটা একবার দেখে নিতেন। এরপর আপন ছন্দে এগিয়ে যেতেন। যেন বল নিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো খেলছে কোনো শিশু! যখন খুশি গতি বাড়াতেন, আবার নিজের ইচ্ছা হলেই গতি দিতেন কমিয়ে। সান্তোসে গানসোর এমন খেলা নিয়ে নেইমার একবার বলেছিলেন, ‘সে অসাধারণ এক প্রতিভা। আমি সব সময়ই বলি সে দ্বিতীয় জিদান হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ বিশ্বকাপের আগে সান্তোসে আলো ছড়াচ্ছিলেন, পুরো ব্রাজিল থেকেই সেই সময়ের জাতীয় দলের কোচ দুঙ্গার ওপর চাপ বাড়ছিল। ব্রাজিলিয়ানদের দাবি ছিল—গানসো ও নেইমার, দুজনকেই বিশ্বকাপের দলে নেওয়া হোক! শেষ পর্যন্ত অবশ্য একজনকেও দলে রাখেননি দুঙ্গা। তবে সেই গ্রীষ্মেই ব্রাজিল দলে ডাক পান গানসো ও নেইমার। তাঁদের দলে নিয়েছেন দুঙ্গার উত্তরসূরি মানো মেনেজেস। কিন্তু ব্রাজিল দলে ডাক পাওয়ার কিছুদিন পরই চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন সেই সময় ২০ বছর বয়সী গানসো। তবে সান্তোসের কোপা লিবের্তাদোরসের ফাইনাল ম্যাচের আগে আবার মাঠে ফেরেন তিনি। নেইমার, দানিলো ও অ্যালেক্স সান্দ্রোর সঙ্গে খেলেছেন ফাইনালে।
২০১১ সালে সেই ফাইনাল জয়ের বছরেই ইউরোপে পাড়ি জমান সান্দ্রো। পোর্তোতে চার মৌসুম খেলার পর তিনি এখন জুভেন্টাসে। দানিলো পোর্তোতে নাম লেখান ২০১২ সালে। এরপর রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি ঘুরে দানিলোও এখন জুভেন্টাসে। আর নেইমার ২০১৩ সালে পাড়ি জমান স্পেনে। বার্সেলোনা থেকে ২০১৭ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে নাম লেখান পিএসজিতে। কিন্তু গানসো সান্তোস থেকে নাম লেখান সাও পাওলোতে।
সাও পাওলোতে তিনি খেলেছেন লুইস ফাবিয়ানো, আলেহান্দ্রে পাতো, মিশেল বাস্তোস ও কাকার সঙ্গে। তাঁদের সবাই নিজেদের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই ইউরোপের ক্লাবে খেলেছেন। কিন্তু গানসো ইউরোপে ডাক পেয়েছেন ২৬ বছর বয়সে। ২০১৬ সালে স্পেনের ক্লাব সেভিয়া কিনে নেয় তাঁকে। কিন্তু সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি। এরপর এক মৌসুম ধারের চুক্তিতে ফরাসি ক্লাব আমিয়েতে খেলে আবার ফিরে যান ব্রাজিলে।
স্পেনের দ্রুতগতির ছন্দের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি গানসো। তবে তাঁর প্রতিভার কিছু ঝলক ঠিকই দেখা গেছে স্পেনের ফুটবলে। দুর্দান্ত কিছু ফ্লিক, ছোট ছোট ট্রিক আর রক্ষণচেরা পাস—এসব তিনি অনেক দেখিয়েছেন। ফুটবলে একটা বিষয় আছে—কালে কালে খেলাটির মহাতারকারা ঈশ্বর প্রদত্ত একটা আর্শিবাদ নিয়ে এসেছেন; তাঁদের খেলা দেখে মনে হয় যেন ‘ধীরলয়ে আর অলস ভঙ্গিতে’ খেলছেন। গানসোও ঈশ্বরের এই আশীর্বাদ নিয়েই জন্মেছেন। কিন্তু ব্যাপারটা হলো গানসো বল ছাড়াও একই ভঙ্গিতে খেলেন। চোটও একটা ভূমিকা রেখেছে এ ক্ষেত্রে। সময় যত গড়িয়েছে, গানসোর মাঠে বিচরণের জায়গা কমে এসেছে। একটা সময়ে এসে তো এমনই হয়ে গেছে যে মাঠের কিছু অংশে গানসোকে কখনোই দেখা যায় না। তাঁর ভূমিকা হয়ে যায় প্রতিপক্ষের অ্যাটাকিং থার্ডে বলের জন্য অপেক্ষা করা!
সেভিয়াতে এ কারণেই খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি গানসো। সেভিয়া থেকে ধারে তাঁর ঠিকানা হয় আমিয়েতে। সেখানে তিনি মুখোমুখি হয়েছেন একসময়ের সান্তোস–সতীর্থ পিএসজির। দুই ব্রাজিলিয়ানকে নিয়ে তুলনার শেষ অবশ্য সেখানেই। তবে সান্তোসের সাবেক সভাপতি লুইস আলভারো ডি অলিভেইরা রিবেইরো একটি ভালো দলে গানসো ও নেইমার, দুজনকেই জরুরি মনে করেন। রিবেইরো তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘নেইমার ছিল শ্যাম্পেনের মতো। সে এমন এক ওয়াইন, ছিপি খোলার পর সব জায়গায়ই বুদ্বুদ হয়। তাকে দেখাটা আনন্দের। অন্যদিকে গানসো হচ্ছে বোর্দোর ওয়াইনের মতো। যে ওয়াইন পান করতে হয় বিচক্ষণতার সঙ্গে। ভালো ডিনারের জন্য দুই ধরনের ওয়াইনই প্রয়োজনীয়।’
নেইমার যখন নিজেকে বৈশ্বিক তারকা হিসেবে মেলে ধরতে পেরেছেন, গানসো এখনো স্থানীয়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে আছেন। গানসো তাঁর সেরা ফুটবলটা ব্রাজিলেই খেলে ফেলেছেন। ২০১১ সালের কোপা আমেরিকায় খেলেছেন গানসো। গ্রুপ পর্বে অসাধারণ খেলেছেন। কিন্তু ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে প্যারাগুয়ের কাছে টাইব্রেকারে ২–০ গোলে হেরে। ব্রাজিলের বিখ্যাত হলুদ জার্সির হয়ে তাঁর ম্যাচসংখ্যা মাত্র ৮। ২০১২ সালের পর আর কখনোই ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামা হয়নি গানসোর। অন্যদিকে নেইমার এখন ব্রাজিল দলের মূল ভরসার নাম।
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে প্যারাগুয়ের কোচ ছক এঁকেছিলেন গানসোকে কেন্দ্র করে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছিলেন, ‘নেইমার আমাদের জন্য হুমকি ছিল না। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, গানসোর কাছে যেন বল পৌঁছাতে না পারে। গানসোই সব পাসগুলো দেয় এবং আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সে যেন জায়গা না পায়। ব্রাজিল দল সব ম্যাচেই এভাবে খেলেছে যে বলটা তাদের ১০ নম্বরকে দেবে।’
ব্রাজিল দলে মেনেজেস–অধ্যায় শেষে আবার দুঙ্গা ফিরে এলেন। এটা গানসোর জন্য ছিল বড় এক দুঃসংবাদ। এর ওপর তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের জন্য হুমকি হয়ে আসে চোট। তবে চোট–টোট কাটিয়ে সাও পাওলোর হয়ে ভালো খেলে ২০১৬ সালে দুঙ্গার কোপা আমেরিকার দলে ডাক পেয়েছিলেন গানসো। কিন্তু খেলা হয়নি একটি ম্যাচেও। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে হারিয়ে গেলেন, এরপর ইউরোপেও স্থায়ী আসন করে নিতে পারলেন না। গানসো আবার ঠিকানা করে নিলেন ব্রাজিলকে, নাম লেখালেন ফ্লুমিনেন্সে।
এটা সত্য যে ফ্লুমিনেন্সে তাঁর সতীর্থ হিসেবে আছেন ফ্রেদের মতো পেনশন নেওয়ার পর্যায়ে চলে যাওয়া ফুটবলার। একই সঙ্গে এটাও সত্য যে সেখানে তাঁর সঙ্গে আছেন কাকাই আর জন কেনেডির মতো উঠতি তারকারাও। তাঁদের ভিড়ে এখনো যদি কেউ গানসোর খেলা দেখেন, তাহলে আক্ষেপে পুড়তে বাধ্য যে এমন একটি হিরেকে কেউ ঠিকভাবে দেখভালই করতে পারল না! এই হিরেকে আসলে সত্যিকার অর্থে কেউ ঝকঝকে–তকতকেও করে তোলেননি।
এ ছাড়া ছিল দুপায়ের হাঁটুতেই অস্ত্রোপচার। যেটা তাঁর গতি আরও কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো ফুটবলের বদলে যাওয়া। এটি ঠিক যে মানুষ মাঠে গিয়ে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ব্যক্তিগত নৈপূণ্য দেখতে চায়। তাঁরা দেখতে চায়, পছন্দের সেই ফুটবলার প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে নাটমেগ করতে। দেখতে চায় কারও মাথার ওপর দিয়ে তিনি বল ফ্লিক করে নিয়ে যাবেন, দূরপাল্লার চোখধাঁধানো শটে গোল করবেন! কিন্তু এখনকার বড় বড় কোচদের কাছেও এমন ব্যক্তিগত নৈপূণ্যের মূল্য কোথায়! ফুটবল যে এখন দলীয় খেলায় বিশ্বাসী হয়ে গেছে, ব্যক্তিনৈপূণ্যে নয়!
সব শেষে গানসোর ব্যর্থতা অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে আনলে ধরা পড়বে, এটা ব্রাজিলের ফুটবলেরই সমস্যা। শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল থেকে দেশটির ঘরোয়া ফুটবল এখন অনেকটাই দূরে সরে গেছে। উঠতি কোনো ফুটবলারকে ঠিকভাবে তৈরি না করে অর্থের লোভে ক্লাবগুলো বিক্রি করে দেয়। কিন্তু সেই অর্থ কি খেলাতে ব্যয় হয়? কোচিং বা ক্রীড়াবিজ্ঞানে কাজে লাগানো হয়? মোটেই নয়। তাই ব্রাজিলের ফুটবলে আবার যদি গানসোর মতো খেলোয়াড় দেখেও থাকেন, মনে রাখবেন আপনি বিলুপ্তপ্রায় একধরনের ফুটবলার দেখছেন।
গানসো প্রজাতির খেলোয়াড়দের বিলুপ্ত হওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র। তাই যতক্ষণ এ প্রজাতি টিকে আছে, তাদের মনপ্রাণ ভরে উপভোগ করুন। গানসোরা বেশি দিন আর ব্রাজিল তথা বর্তমান বিশ্বের ফুটবলে থাকবে না, ভবিষ্যতে তো ফুটবলে এমন অলস–সৌন্দর্যের দেখা মেলার প্রশ্নই আসে না!