কুকুরের চেয়ে বাজে পেনাল্টি নিতেন রাকিতিচ!

রাকিতিচের কাছে পেনাল্টিটা এখন ডালভাত। ছবি: রয়টার্স
রাকিতিচের কাছে পেনাল্টিটা এখন ডালভাত। ছবি: রয়টার্স

কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ পেনাল্টি, বল জালে পাঠাতে পারলেই ২০ বছর পর সেমিফাইনালে উঠবে ক্রোয়েশিয়া। স্বাগতিক সমর্থকদের চিৎকারে মাঠে কান পাতাই দায়। অনন্ত চাপ সঙ্গী করে শেষ শটটি নিতে গিয়েছিলেন ইভান রাকিতিচ! তখনই মদরিচ-লভরেন-রেবিচরা উল্লাস শুরুর করে দিয়েছেন। যেন রাকিতিচ যেহেতু পেনাল্টি নিচ্ছেন, জয় তো সময়ের ব্যাপার! রাকিতিচ হতাশ করেননি, ঠান্ডা মাথায় বলটি পৌঁছে দিলেন কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়।

শুধু কোয়ার্টার ফাইনাল নয়, শেষ ষোলোতেও টাইব্রেকারের শেষ শট ছিল রাকিতিচের। শুট আউটে শেষ শট নেওয়া কতটা চাপের, তা নিশ্চয় বলতে হবে না। সেই শেষ পেনাল্টি নেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন দুবার। টানা দুই ম্যাচে পেনাল্টিতে শট নিয়েছেন রাকিতিচ। এ কঠিন দায়িত্ব ইস্পাতসম নার্ভ না হলে কাউকে দেওয়া হয় না। অথচ এই পেনাল্টিতে ব্যর্থতা নিয়েই তাঁকে শুনতে হয়েছিল কড়া সমালোচনা। সেটাও আবার নিজের শাশুড়ির কাছ থেকে।

২০১৪ সালের কথা। তখনো বার্সেলোনায় আসেননি ক্রোয়েশিয়ান তারকা। স্পেনেরই আরেক দল সেভিয়াতে খেলতেন রাকিতিচ। রাকিতিচ তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পেয়েছিলেন এই সেভিয়াতে এসেই। স্ত্রী তো বটেই, পুরো পরিবারই সেভিয়ার পাঁড় ভক্ত। কিন্তু ২০১৪ সালে রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে সেভিয়ার জার্সিতেই পেনাল্টি মিস করেছিলেন রাকিতিচ। পাঁড় ভক্ত শাশুড়ি সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে একটি ম্যাসেজ দিয়েছিলেন, যেখানে ছিল রাকিতিচ ও তাঁর একটি কুকুরের ছবি। সেই সঙ্গে লেখা, তোমার কুকুরও তোমার থেকে ভালো পেনাল্টি নেয়!

কিছুদিন পরেই সেভিয়া থেকে বার্সেলোনার চলে আসেন রাকিতিচ। কে জানে, শাশুড়ির খোঁচাতেই হয়তো পেনাল্টিতে নিজেকে ভালো করার প্রেরণা পেয়েছেন। যে প্রেরণাতে টানা দুই ম্যাচে শেষ পেনাল্টিতে গোল দিয়ে ২০ বছর পর ক্রোয়েশিয়া দলকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিয়ে যাবার অনন্য কীর্তি করেছেন রাকিতিচ।