করোনার নিয়ম ভেঙে পার্টি করে লজ্জিত আর্জেন্টাইন তারকা
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে নববর্ষ উদ্যাপনে নেইমারের সম্ভাব্য পার্টি নিয়ে চারদিকে হইচই পড়ে গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে কত লেখালেখিই না হলো। এর আগেই কিন্তু সতীর্থদের নিয়ে পার্টি করেছেন টটেনহামের আর্জেন্টাইন ফুটবলার এরিক লামেলা। নেইমারের সম্ভাব্য পার্টির ডামাডোলে লামেলার পার্টির খবরটা যেন চাপাই পড়ে গিয়েছিল। তবে সেটা নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি।
লামেলা সতীর্থদের নিয়ে পার্টি করেছিলেন বড়দিন উপলক্ষে। পার্টিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন টটেনহামের দুই সতীর্থ সের্হিও রেগিলন ও জিওভান্নি লো সেলসো আর ওয়েস্ট হামের মানুয়েল লানজিনি। এর মধ্যে লো সেলসো ও লানজিনি আর্জেন্টাইন আর রেগিলন স্প্যানিশ। হয়তো ভাষার টানেই চারজন একজোট হয়েছিলেন। তাঁদের পার্টির খবর ছড়িয়ে পড়লে চারদিক থেকে ধেয়ে যায় সমালোচনার তির। এত দিন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি পার্টির আয়োজক লামেলা। কাল প্রিমিয়ার লিগে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে টটেনহামের ৩-০ গোলের জয়ের পর এটা নিয়ে মুখ খুলেছেন লামেলা।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে খেলা মাঠে ফিরলেও চলছে নানা ধরনের নিয়ম মেনে। প্রিমিয়ার লিগে এখনো সেভাবে দর্শক ফেরানো হয়নি। এ ছাড়া খেলোয়াড়দেরও নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। এসব নিয়মকানুন মানার পরও প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে কোনো না কোনো খেলোয়াড়ের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর। করোনার কারণে গত সপ্তাহে হতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটির একটি ম্যাচ। চলতি সপ্তাহেও বাতিল হয়েছে একটি ম্যাচ।
এ অবস্থায় নিয়ম ভেঙে পার্টি করার জন্য লজ্জিত লামেলা। লিডসের বিপক্ষে কাল টটেনহাম দলে জায়গা না পাওয়া আর্জেন্টাইন উইঙ্গার বলেছেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে পার্টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি বিষয়টির জন্য খুব দুঃখিত। আমি নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছি আর এ–ও বুঝতে পেরেছি, এই ভুলের প্রভাব অন্যদের ওপর কতটা পড়েছে।’
মহামারির এই সময়ে খেলোয়াড়দের ফিট আর করোনামুক্ত রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ক্লাবগুলোর ট্রেনার ও চিকিৎসকেরা। তাঁদের উদ্দেশ করে লামেলা বলেছেন, ‘আমাদের নিরাপদ রাখার জন্য যাঁরা কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি কিছু মানুষের জন্য সমস্যার কারণ হয়েছি বুঝতে পেরে লজ্জিত।’
লিডসের বিপক্ষে টটেনহামের জয়ের পর লামেলা ও আরও দুই খেলোয়াড়ের পার্টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে কোচ জোসে মরিনিওকে। তিনি বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মরিনিও বলেছেন, ‘আমি আসলে হতাশ। আমি তো আর আপনাদের বলব না যে ক্লাবের ভেতরে আমরা কী করছি। এখানে শুধু একটা কথাই বলতে পারি যে আমি বিষয়টি নিয়ে হতাশ।’