এমবাপ্পেকে পাটকেল লাওতারো মার্তিনেজের
ইউরোপের ফুটবল আর দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের তুলনা হরহামেশাই হয়। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা পেলে–ম্যারাডোনা যুগে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের ‘জাদু’ থেকে এখনো বের হতে পারেননি। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ে এখনো উচ্ছ্বসিত তাঁরা। কিন্তু ইউরোপের ফুটবলের ভক্তদের কথা অন্য। তাঁদের যুক্তি, দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সেই আদি যুগেই রয়ে গেছে। আগের চেয়ে বরং জৌলুশ হারিয়েছে। আর ইউরোপের ফুটবল এগিয়ে গেছে অনেক, এখানে অদম্য গতিতে খেলে দলগুলো।
সম্প্রতি ইউরোপ আর দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের তুলনা নিয়ে কথা বলেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও। পিএসজির ফরাসি তারকাও বলেছেন, ইউরোপের ফুটবল যতটা এগিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ততটা এগোতে পারেনি। কিন্তু এমবাপ্পের এমন মন্তব্য মেনে নিতে পারেননি লাওতারো মার্তিনেজ। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ে ফরাসি স্ট্রাইকারের এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি বলেই মনে করেন তিনি।
কাতার বিশ্বকাপে কোন মহাদেশের দল এগিয়ে থাকবে—এমন এক আলোচনায় এমবাপ্পে দুই মহাদেশের ফুটবলের তুলনা করেছেন। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এমবাপ্পে সেখানে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠতে আর্জেন্টিনা খুব বেশি মানসম্পন্ন ম্যাচ খেলেনি। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ইউরোপের মতো অতটা এগোতে পারেনি। এ কারণেই আপনি যদি সর্বশেষ বিশ্বকাপের দিকে তাকান, ইউরোপিয়ান দলগুলোই বেশি জিতেছে।’
আর্জেন্টিনার কথা উল্লেখ করেছেন বলেই হয়তো লাওতারো মার্তিনেজ এর জবাব দিয়েছেন। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার টিওয়াইসি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘আমরা যারা ইউরোপে খেলার জন্য ডাক পেয়েছি, প্রতিদিন সেখানে খেলছি কিংবা প্রতিটি ট্রেনিং সেশনে অংশ নিচ্ছি, তাদের (ইউরোপের খেলোয়াড়) সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়।’
মার্তিনেজ এখানেই থেমে যাননি। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে নিজেদের খেলা নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকানরা যে খুশি, সেটা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘এমবাপ্পে কী বলেছে, তা আমি দেখেছি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে মানসম্পন্ন অনেক খেলোয়াড় আছে, প্রতিভারও কমতি নেই।’ এরপর তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের মতো ব্রাজিলেরও ইউরোপে অনেক খেলোয়াড় খেলে। আমার কাছে এমবাপ্পের এমন কথা ঠিক মনে হয়নি।’
আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজও এমবাপ্পের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন, ‘লা পাজে বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ, ইকুয়েডরের ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, কলম্বিয়ায় তো শ্বাস নিতেই কষ্ট হয়...আর ইউরোপে তারা সব সময় নিখুঁত মাঠে খেলে। দক্ষিণ আমেরিকায় কী প্রতিকূলতার মধ্যে খেলতে হয়, সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণাই নেই।’