উড়ন্ত লাথিতে লাল কার্ড, নেইমারদের কাছে ক্ষমা চাইলেন জেসুস
দৌড়ে গিয়ে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে প্রতিপক্ষের মুখে লাথি মারার দৃশ্য রেসলিংয়ে দেখা যায় নিয়মিত। ব্রাজিলের স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুসের কি রেসলিং খেলার সাধ হয়েছিল! নইলে চিলি লেফটব্যাক ইউজেনিও মেনার মুখে ওভাবে উড়ন্ত লাথি মারবেন কেন? এরপর যা হয় আরকি! সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে হয় জেসুসকে।
ব্রাজিল ও চিলির মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। বদলি হয়ে নামা লুকাস পাকেতার গোলে ৪৬ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এর দুই মিনিট পরই ম্যাচের সবচেয়ে জঘন্য দৃশ্যের জন্ম দেন জেসুস। বাতাসে বলের দখল নিতে গিয়ে মেনার মুখে লাথি মারেন তিনি—দেখে মনে হবে রেসলিংয়ের ‘ফ্লাইং কিক’!
লাল কার্ড অনিবার্য ছিল, রেফারি সেটা দেখানোর পর ব্রাজিলের কোনো খেলোয়াড় প্রতিবাদ জানানোর প্রয়োজনও মনে করেননি। বাকি সময়ে ১০ খেলোয়াড় নিয়ে ১-০ গোলের জয়ে মাঠ ছেড়েছে নেইমারের দল। তবে একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে রক্ষণে হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে পাঁচবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের।
এর আগে ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকাতেও লাল কার্ড দেখেছিলেন জেসুস। সেটি ছিল পেরুর বিপক্ষে। তিতে ব্রাজিল কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫৯ ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল। এ সময়ে জেসুসই তিতের ব্রাজিলের অধীনে একমাত্র লাল কার্ড দেখা খেলোয়াড়। তবে আজ চিলির বিপক্ষে জঘন্য কাণ্ডে লাল কার্ড দেখার পর অপরাধবোধ কাজ করছে ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ডের।
আজ খেলা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জেসুস।
নিজের ফেসবুক পেজে জেসুস লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি এমন একটি ভুল করেছি, যাতে দলের ক্ষতি হতে পারত। কিন্তু দলটা শক্তিশালী। আমি আমার সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাই এবং আমি সব সময় ভুল থেকে শিখব। মেনা সুস্থ আছে জানার পর স্বস্তি লাগছে এবং ওর সঙ্গে কথাও বলেছি। এই দলটি খুব ভালো, আমরা সেমিফাইনালে।’
৫ জুলাই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ পেরু। লাল কার্ডের খড়্গে সে ম্যাচে খেলা হচ্ছে না জেসুসের। তাঁর নিষেধাজ্ঞা বাড়ে কি না, সে নিয়েও শঙ্কা আছে ব্রাজিলের সমর্থকদের।