উজ্জ্বল সেই এনামুল

জোড়া গোল করে মুক্তিযোদ্ধাকে জেতালেন এনামুল l প্রথম আলো
জোড়া গোল করে মুক্তিযোদ্ধাকে জেতালেন এনামুল l প্রথম আলো

শরীরে মেদ কমেছে অনেক। দারুণ ফিটনেস। লম্বা চুলের সেই এনামুল চোখ কাড়ছেন এবার ঘরোয়া ফুটবলে। মৌসুমে এ পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ৮ গোল। স্ট্রাইকারদের বিবর্ণ এই সময়ে যা বুক ফুলিয়ে বলার মতো।
ফেডারেশন কাপে ৫ গোল। লিগে প্রথম দুই ম্যাচেই ৩ গোল, যার দুটিই করলেন কাল। চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে পিছিয়ে পড়েও এনামুলের জোড়া গোলে জিতল মুক্তিযোদ্ধা (২-১)। প্রথম ম্যাচে ফেনী সকারের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের জয়েও গোল করেছিলেন এনামুল।
হঠাৎই যেন পুরোনো এনামুলের আবির্ভাব! স্ট্রাইকার হিসেবে খেলার সুযোগ পেয়ে ঝলসে উঠেছেন। নিজেই বললেন, ‘এবার মুক্তিযোদ্ধার অফিশিয়ালদের বলেছিলাম, স্ট্রাইকার হিসেবে খেলার নিশ্চয়তা যে দল দেবে সেখানেই খেলব।’ তাতে রাজি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা। এনামুলও সুযোগ পেলেন নিজেকে ফিরে পাওয়ার।
২০০৮-০৯ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন। সর্বশেষ খেলেছেন ২০১০ গুয়াংজু এশিয়াডে। ২০১১ সালে চোট ছিটকে দেয় মাঠের বাইরে। পরের বছর আবাহনীতে বদলি হয়ে হাতে গোনা কয়েকটা ম্যাচ খেলেছেন। গত বছর মাঝমাঠে খেলে লিগে তিনটিসহ গোটা মৌসুমেই গোল করেছিলেন ৫টি।
সেই এনামুলই এবার নিজেকে ফিরে পেয়ে দলকে পথ দেখাচ্ছেন। জাতীয় দলের ফেরার দাবি জানাচ্ছেন জোরেশোরে। দলের কোচ আবু ইউসুফ বলছেন, ‘এনামুল গোল পাচ্ছে, এটা দেশের ফুটবলের জন্যই ভালো খবর।’
স্ট্রাইকিংয়ে এনামুলের সঙ্গী কামারা এবার একটু স্কিমারের ভূমিকায়। গোল তৈরিই করছেন বেশি। এনামুল তা কাজে লাগাচ্ছেন। কালকের ২ গোলের প্রথমটি বক্সের ওপর থেকে মাটি কামড়ানো শটে। ৫৩ মিনিটে ১-১ করার পর ৮৩ মিনিটে জয়সূচক গোল। ফয়সাল মাহমুদের ফ্রি-কিকে কাঞ্চনের ডাইভিং হেড ক্রসবারে প্রতিহত, ফিরতি বল অসাধারণ ভলিতে জালে জড়িয়ে দেন
এনামুল।
বৃথাই গেছে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর মামাদুর করা গোলটি। তবে প্রথম ম্যাচে মোহামেডানের কাছে ৫ গোলে বিধ্বস্ত দলটি দ্বিতীয় ম্যাচে তুলনামূলক ভালোই খেলেছে। শেষ পর্যন্ত হার তাদের হারিয়ে যেতে বসা এনামুলের কাছে।