ইতালির বিপক্ষে জিতেও দুয়োর শিকার পগবা
>শুক্রবার ইতালির বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ফরাসি সমর্থকদের দুয়োর শিকার হন পল পগবা। ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশাম এবং সতীর্থ কোরেনতিন তোলিসোকে অবশ্য পাশেই পাচ্ছেন ২৫ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। পগবা এই ঘটনায় নিজে অবশ্য কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি!
বিশ্বকাপ এলেই জাতীয় পতাকার ছায়াতলে সমবেত হন সমর্থকেরা। নিজ নিজ দলের খেলোয়াড়দের অকুণ্ঠ সমর্থনে প্রেরণা জোগানোই ভক্তদের কাজ। বিশ্বকাপে যেন এটাই চিরকালীন প্রথা। কিন্তু ফরাসি তারকা পল পগবার ক্ষেত্রে তা ঘটছে না। শুক্রবার ইতালির বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে নিজ দেশের সমর্থকদের বিদ্রূপের শিকার হয়েছেন তিনি।
নিসের অ্যালিয়াঞ্জ রিভিয়েরা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়ার্ধে পগবা একটি ভুল পাস দিয়েছিলেন। আর যায় কোথায়,দুয়ো দিতে শুরু করেন স্বাগতিক দলটির সমর্থকেরা। নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগে মাঠ ছাড়ার সময়েও একই কাণ্ড—ফরাসি সমর্থকদের দুয়ো মাথায় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকাকে। পগবার ক্যারিয়ারে দুয়ো অবশ্য এই প্রথম নয়। গত মার্চে রাশিয়ায় একটি প্রীতি ম্যাচেও দুয়োর শিকার হয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
তবে ইতালির বিপক্ষে ফ্রান্সের ৩-১ গোলে জয়ের ম্যাচে ফরাসি সমর্থকেরা পগবাকে দুয়ো দিয়েছেন সম্ভবত তাঁর সাদামাটা পারফরম্যান্সের কারণে। যদিও শিষ্যকে আগলে রাখছেন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশাম, ‘পগবাকে দুয়ো দেওয়া হয়েছে? এটা শুধু তাঁকে নয়, আমাদের দখলে বল থাকতেও তাঁরা দুয়ো দিয়েছে। আমি এটা মনে রাখব না তবে ব্যাপারটা না ঘটলেই ভালো হতো।’
পগবার সতীর্থ কোরেনতিন তোলিসো অবশ্য সমর্থকদের এমন আচরণে বিরক্ত। ফরাসি এই মিডফিল্ডার বেশ কড়া সুরেই বলেছেন, ‘এমন আচরণ ধৈর্যচ্যুতি ঘটায়, বিরক্ত লাগে। আমরা সবাই ফ্রান্সের খেলোয়াড়, দেশ ও সমর্থকদের জন্য লড়াই করি। সমর্থকদের এটা বুঝতে হবে যে আমরা সবাই একই নৌকার যাত্রী।’
যাকে নিয়ে এত কাণ্ড, এত কথা সেই পগবা কিন্তু দুয়ো নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছেন। ইতালিকে হারানোর পর তিনি ইনস্টাগ্রামে শুধু লিখেছেন, ‘আজ রাতে দারুণ জয় পেলাম।’ অবশ্য মৌসুমটা ভালো কাটলে হয়তো দুয়োর জবাব দিতে পারতেন তিনি। ইউনাইটেডের হয়ে এবার ৩৭ ম্যাচে মাত্র ৭ গোল তাঁর ১০ কোটি ৫০ লাখ ইউরো ট্রান্সফার ফি’র সঙ্গে একটু বেমানানই।