ইচ্ছে করে হলুদ কার্ড দেখার কৌশল ইংল্যান্ড-বেলজিয়ামের!
>‘জি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হয়ে শেষ ষোলোর ম্যাচ জিতলে বিপদ। কারণ, তখন শেষ আটে ব্রাজিল কিংবা জার্মানির মুখোমুখি হতে হবে। আর তাই গ্রুপপর্বে ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম ম্যাচে কঠিন হিসাবের মধ্যে পড়েছেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা
হলুদ কার্ড দেখলে বিপদ। লাল কার্ড পেলে তো কথাই নেই। দলের শক্তি কমিয়ে সোজা মাঠের বাইরে। তাই মাঠে নেমে কোন ফুটবলার কার্ড দেখতে চান! কিন্তু এমন যদি হয়, মাঠে মুখোমুখি হওয়া দুই দলের ফুটবলারই আনন্দের সঙ্গে কার্ড দেখার চেষ্টা করছেন!
ভ্রুকুটির কিছু নেই। দলের ভালোর জন্য তো সব করা যায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের ধারণা, ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের খেলোয়াড়েরা তাঁদের দলের সুবিধার জন্য এ কাজটি করতে পারেন। বৃহস্পতিবার ‘জি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম। এই ম্যাচটা দুই দলকেই ফেলেছে কঠিন সমীকরণের মধ্যে। হিসাব মেলাতে তাই কার্ড দেখার চেষ্টা করতে পারেন কেইন কিংবা লুকাকুরা। তো, কী সেই হিসাব?
‘জি’ গ্রুপে একবার তাকানো যাক। দুটি করে ম্যাচ শেষে শীর্ষস্থানীয় ইংল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিতীয় বেলজিয়ামের সমান ৬ পয়েন্ট। দল দুটির গোল ব্যবধানও সমান (+৬)। এখন ধরে নেওয়া যাক, দুই দলের শেষ ম্যাচটা ড্র হবে। তাহলে পয়েন্ট ও গোল ব্যবধানও সমান হবে তাদের। তখন কিন্তু ফেয়ার প্লেতে এগিয়ে থাকা দলটি ‘জি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। আর সেখানেই যত সমস্যা! এই গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন না হওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ ‘জি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল যদি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারে, তাহলে ব্রাজিল কিংবা জার্মানির মুখোমুখি হতে হবে।
আর তাই সংবাদমাধ্যমের শঙ্কা, ‘জি’ গ্রুপে কোন দল চ্যাম্পিয়ন হবে তা পয়েন্টে নয়, নির্ধারিত হবে শেষ ম্যাচে খেলোয়াড়দের আচরণের ভিত্তিতে। সে ক্ষেত্রে বেলজিয়ামের তুলনায় ইংল্যান্ড একটু অসুবিধার মধ্যে। কারণ, বেলজিয়ামের তিন হলুদ কার্ডের (-৩) বিপরীতে ইংল্যান্ডের দুটি হলুদ কার্ড (-২)। অর্থাৎ গ্রুপের শেষ ম্যাচেও কার্ড দেখায় ইংলিশ খেলোয়াড়েরা পিছিয়ে থাকলে এবং খেলাটি ড্র হলে ইংল্যান্ডই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। এখন দেখে নেওয়া যাক, কোন কার্ড দেখলে কত পয়েন্ট (মাইনাস) পাবে:
হলুদ কার্ড: -১।
দুটো হলুদ কার্ডে একটি লাল কার্ড: -৩।
সরাসরি লাল কার্ড:-৪।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। যদি ফেয়ার প্লেতেও দুই দল সমতা রক্ষা করে? তাহলে ঘটে যাবে ১৯৯০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস-আয়ারল্যান্ড ম্যাচের মতো বিরল ঘটনা। সেবার নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের ভাগ্য সেবার নির্ধারিত হয়েছিল টস করে। নিশ্চয়ই কেউ চাইবে না তেমন কিছু হোক। তবে হাতের কাছেই তো সহজ সমাধান—ম্যাচটা হেরে যাওয়াই কি ভালো নয়! কিন্তু সেটাও তো আবার খেলার স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান। তাই কার্ড দেখাই সমাধান।
‘জি’ গ্রুপ:
দল | ম্যাচ | জয় | গোল ব্যবধান | পয়েন্ট |
ইংল্যান্ড | ২ | ২ | +৬ | ৬ |
বেলজিয়াম | ২ | ২ | +৬ | ৬ |
তিউনিসিয়া | ২ | ০ | –৪ | ০ |
পানামা | ২ | ০ | –৮ | ০ |