অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে মাত্রাতিরিক্ত ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ আর অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ৩-০তে জয়। প্রস্তুতিটা তাহলে ভালোই হলো নেইমারদের। বিশ্বকাপের আগে এমন শুরুই তো চেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ানরা। তবে এমন প্রস্তুতিতেও চোটের ভয়টুকু বুঝি আবার পেয়ে বসল নেইমারকে!
পায়ের পাতার চোট কাটিয়ে ফিরেছেন বেশি দিন হয়নি। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামলেও গতকাল অস্ট্রিয়ার বিপক্ষেই প্রথমবারের মতো প্রথম একাদশে ছিলেন নেইমার। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে একটি গোল করলেও পূর্ণ ছন্দে ছিলেন না। তবে গতকাল যতক্ষণ মাঠে ছিলেন এই ফরোয়ার্ড, ততক্ষণ যেন পুরোনো নেইমারকেই দেখেছিল সবাই। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে এর ফলও পেল ব্রাজিল দল। ডিফেন্ডার এবং গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে নেইমারের অসাধারণ এক গোল।
তবে নেইমারের এমন প্রত্যাবর্তনে দর্শকেরা যতটা না আনন্দে ছিলেন, তার চেয়ে ঢের বেশি ছিলেন আতঙ্কে। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনাল ম্যাচটি চোটের কারণে খেলতে পারেননি নেইমার। এর প্রভাবেই হয়তো, জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে ধরাশায়ী হয়েছিল ব্রাজিল। গতকাল নেইমার যতবার ট্যাকলের শিকার হয়েছেন ততবারই যেন ব্রাজিল-ভক্তরা দুরু দুরু মন নিয়ে ভাবছিল, এবারও বুঝি বিশ্বকাপটা মাটি হয়ে যায় নেইমারের। তবে এবার ব্রাজিল দলটি নেইমারনির্ভর নয়। নেইমারেরও একই বিশ্বাস। এ কারণেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন লুকোনোরও কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি, ‘আপনাকে আপনার স্বপ্নের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। স্বপ্ন নিয়ে কথা বলতে হবে, আমরা ব্রাজিলিয়ান, আমরা স্বপ্ন দেখতেই পারি। হয়তো আমরা একটু বেশিই স্বপ্ন দেখছি কিন্তু স্বপ্ন দেখা তো নিষিদ্ধ কিছু নয়।’
ভক্তদের ভাবনায় অবশ্য অন্য কিছু। নেইমারের চোখে মুখে যে আত্মবিশ্বাস, সেটা যদি চোটে আবার হারিয়ে যায়? কাল ৮৩ মিনিট একটানা মাঠে ছিলেন। এই সময়ের মাঝে তাঁকে আটবার ফাউল করা হয়েছে! শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের নজরে ছিলেন নেইমার। ম্যাচের মাত্র তিন মিনিটের মাথায় অস্ট্রিয়ার অধিনায়ক জুলিয়ান বৌমার্টলিঙ্গার নেইমারকে প্রথম ফাউল করেন। ম্যাচটি তাই নেইমারের জন্য আল্টিমেট ফাইট চ্যাম্পিয়নশিপের থেকে কম কিছু ছিল না। ম্যাচ শেষে তাই নেইমার একটু মজা করেই বললেন, ‘আজকের পর আমরা ইউএফসির জন্যই প্রস্তুতি সেরে নিয়েছি। তবে এটা খারাপ নয়। আমাদের কারওরই কোনো ক্ষতি হয়নি।’