তিন মিনিট খেলেই রাতের রাজা গ্রিলিশ, নাইটক্লাবে বিল দিলেন ৮ লাখ টাকা
মাঠে ছিলেন তিন মিনিট, পরে নৈশ ক্লাবে কাটালেন তিন ঘণ্টা—জীবনটা কীভাবে উপভোগ করবেন, সেই সিদ্ধান্ত তো জ্যাক গ্রিলিশ অনেক আগেই নিয়ে রেখেছেন।
ইদানীং ম্যানচেস্টার সিটির একাদশে নিয়মিত নন খুব একটা। ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি থাকে সিনেমার অতিথি চরিত্রের মতো, খেলেন এ রকম তিন, পাঁচ বা দশ মিনিটের মতো। কিন্তু সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা সুযোগ দিচ্ছেন না বলে মনমরা হয়ে থাকবেন, গ্রিলিশ এমন লোকই নন!
এই তো গত শনিবার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ৫-২ গোলে জয়ে গ্রিলিশ খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র তিন মিনিট। কিন্তু রাতে এমন পার্টি করেছেন, যেন তিনিই ছিলেন ম্যাচের নায়ক! ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান একটা ভিডিও ফুটেজ পেয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, রোববার রাতে লন্ডনের মেফেয়ারে এক বিলাসবহুল নৈশ ক্লাবে বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করছেন ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি পাউন্ডে অ্যাস্টন ভিলা থেকে সিটিতে যোগ দেওয়া গ্রিলিশ।
দ্য সানের দাবি, সেই রাতে নৈশ ক্লাবে গ্রিলিশ বিল দিয়েছেন ৫ হাজার পাউন্ডের বেশি, মানে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ লাখ টাকার বেশি।
দ্য সান কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে লিখেছে, রাতটা জমিয়ে উপভোগ করছিলেন গ্রিলিশ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন বন্ধু, যাঁদের কয়েকজন নারী ও একজন দেহরক্ষী। পার্টি তো আর চুপচাপ হয় না। রাত একটার দিকে নাকি গ্রিলিশ টেবিলের ওপর উঠে দুই হাত ছড়িয়ে ‘দ্য উলফ অব ওয়াল স্ট্রিট’ ছবিতে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর সেই বিখ্যাত ভঙ্গিমায় পোজ দেন। চারপাশের অতিথিরা তখন হেসে গড়াগড়ি!
সাদা টি-শার্ট আর নীল জ্যাকেট পরে পানীয়র গ্লাস নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নেচেছেন গ্রিলিশ। তবে তিনি ‘অত্যন্ত ভদ্র ও নিয়ন্ত্রিত’ ছিলেন বলেই দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এক প্রত্যক্ষদর্শী দ্য সানকে বলেন, ‘জ্যাক ছিলেন পার্টির প্রাণ। চার বন্ধু আর চারপাশে কিছু মেয়ে নিয়ে বসেছিলেন। তাঁর টেবিলে একজন দেহরক্ষীও ছিলেন, যেন কেউ ওকে বিরক্ত না করেন। মনে হচ্ছিল, ওদের টেবিলের বিল কম করে হলেও পাঁচ অঙ্ক ছুঁয়েছে।’
গ্রিলিশের ‘পার্টি কিং’ হয়ে ওঠার অভ্যাস অবশ্য নতুন নয়। ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের পরদিন বচিলটার্ন ফায়ারহাউসের বাইরে এক স্বর্ণকেশীর সঙ্গে দেখে গেছে তাঁকে। ক্যামেরা দেখে তখন নাকি চিৎকার করে বলেছিলেন, ‘এই মেয়েটা আমার সঙ্গে নয়। আমার পরিচিত নয়।’
তবে এটা সত্যি, ফুটবল মাঠ হোক কিংবা নৈশ ক্লাবের ডান্স ফ্লোর, গ্রিলিশ জানেন কীভাবে শিরোনামে থাকতে হয়।
বল পায়ে কম, গ্লাস হাতে বেশি—তবুও লাইমলাইট তাঁরই!