কষ্টের জয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেল লিভারপুল

সালাহর গোল উদ্‌যাপনরয়টার্স

লিভারপুল ২ : ১ উলভস

কষ্টার্জিত জয়। প্রিমিয়ার লিগে উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে লিভারপুলের জয়টাকে আর কী-ই বা বলা চলে। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া লিভারপুল দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় ছিল চাপের মুখে। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় শেষ পর্যন্ত হাসি মুখেই মাঠ ছেড়েছে আর্নে স্লটের দল। লিভারপুল জিতেছে ২-১ গোলে। এই জয়ে দুই নম্বরে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানটা আবারও ৭ করল লিভারপুল।

গতকাল শনিবার লেস্টার সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধানটা চারে নামিয়ে এনেছিল আর্সেনাল। আজ লিভারপুল যদি উলভসের বিপক্ষে পয়েন্ট হারাত তবে সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যেত আর্সেনাল। তবে গানাররা আপাতত সেই সুযোগ পাচ্ছে না। উলভসের বিপক্ষে জয়ের পর ২৫ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট এখন ৬০। সমান ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট ৫৩।

আগের ম্যাচে এভারটনের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে পয়েন্ট হারিয়েছিল লিভারপুল। সেই একই স্মৃতি ফিরতে পারত আজকেও। দ্বিতীয়ার্ধে উলভস ১০টি শট নিয়েছে, বিপরীতে লিভারপুল কোনো শটই নিতে পারেনি। যদিও শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছে অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি।

আরও পড়ুন

ঘরের মাঠে ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় লিভারপুল। এ সময় আঁটসাঁট রক্ষণ দেয়াল তৈরি করে লিভারপুলকে আটকানোর চেষ্টা করে উলভস। শুরুর কিছু সময়ে সফল হলেও, ১৫ মিনিটে ঠিকই ভেঙে পড়ে উলভসের রক্ষণ। দারুণ এক আক্রমণে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লুইস দিয়াজ। এগিয়ে গিয়ে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় লিভারপুল।

অনেক কষ্টের পর জিতেছে লিভারপুল
রয়টার্স

স্বাগতিকদের তেমনই এক আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে লিভারপুলকে পেনাল্টি উপহার দেন উলভস গোলরক্ষক জোসে সা। স্পট কিকে ভুল করেননি দারুণ ছন্দে থাকা সালাহ। দলকে এগিয়ে ২-০ গোলে। এটি প্রিমিয়ার লিগে সালাহর ২৩তম এবং সব মিলিয়ে মৌসুমের ২৮তম গোল। নিয়মিত মাইলফলক গড়া সালাহ এই ম্যাচ দিয়েও গড়েছেন আরেকটি মাইলফলক।

এই গোলে প্রিমিয়ার লিগে এক মাঠে সর্বোচ্চ গোল করায় ওয়েইন রুনিকে ছুঁয়ে ফেললেন সালাহ। ওল্ড ট্রাফোর্ডে রুনি করেছিলেন ১০১ গোল, অ্যানফিল্ডে সমান গোল করেছেন সালাহও। সালাহর চেয়ে এগিয়ে আছেন শুধু থিয়েরি অঁরি (হাইবুরিতে ১১৪) ও সের্হিও আগুয়েরো (ইতিহাদে ১০৬ গোল)। সালাহর গোলের পর জোড়া গোল নিয়েই বিরতিতে যায় লিভারপুল।

আরও পড়ুন

বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে মাঠে নামে উলভস। প্রেসিং করে লিভারপুলকে চাপে রাখার চেষ্টা করে তারা। এর মধ্যে অবশ্য এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল লিভারপুলের সামনে। ৫৭ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় ‘অল রেড’রা। ভিএআরের সহায়তা নিয়ে অবশ্য সেই পেনাল্টি বাতিল করেন রেফারি।

ফলে ব্যবধান আর বাড়ানো হয়নি লিভারপুলের। লিভারপুল ব্যবধান বাড়াতে না পারলেও উলভস ঠিকই ব্যবধান কমিয়ে আনে ৬৭ মিনিটে। দারুণ এক শটে গোল করে ব্যবধান ২-১ করেন মাতেউস কুনিয়া। ব্যবধান কমিয়ে সমতায় ফিরতে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। লিভারপুলকে কোণঠাসা করে একাধিকবার কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে দলটি।