হেলিকপ্টারে করে গিয়ে জয় নিয়ে ফিরল বার্সা
মৌসুমে এ পর্যন্ত ২৩ ম্যাচে ২২ গোল। গোল বানিয়েছেন ৫টি। কাল রাতে কোপা ডেল রেতে সেউতার বিপক্ষে ম্যাচটিসহ এ মৌসুমে মাঠে ছিলেন ১৮৯৯ মিনিট। প্রতি ৮৬ মিনিট পর তাঁর কাছ থেকে একটি গোল পেয়েছে বার্সেলোনা। গোলের পথ তৈরি করেছেন প্রতি ৭০ মিনিট পর। ঠিকই ধরেছেন। লোকটার নাম রবার্ট লেভানডফস্কি।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে গোলে ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হলান্ড বেশ এগিয়ে। ১৮ ম্যাচে ২২ গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার। তাঁকে অন্য দলে দেখে বার্সার অন্তত হিংসায় জ্বলে-পুড়ে মরার কিছু নেই। কারণ, বার্সারও আছে লেভানডফস্কি। কাল রাতেও গোল পেয়েছেন কাতালান ক্লাবটির এই পোলিশ স্ট্রাইকার। স্প্যানিশ ফুটবলে তৃতীয় স্তরের দল সেউতাকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বার্সা। জোড়া গোল করেন লেভানডফস্কি।
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়ালের বিপক্ষে যে একাদশ মাঠে নামিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ, সেউতার বিপক্ষে সেই একাদশ আর থাকেনি। ১০টি পরিবর্তন আনেন বার্সা কোচ। লেভানডফস্কি ছাড়া বিশ্রাম দেওয়া হয় বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ ও একাদশে নিয়মিত খেলোয়াড়দের। তাতে বার্সার আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে সমস্যা হয়নি। ম্যাচ এগিয়ে চলার সঙ্গে জাভির দলের আক্রমণের ধারও আরও বেড়েছে।
ম্যাচ কতটা একপেশে ছিল, তা বুঝিয়ে দেবে পরিসংখ্যান। ৩৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ৬টি আক্রমণের চেষ্টা করেছে সেউতা। একটি শটও বার্সার পোস্টে রাখতে পারেনি। আর বার্সা? ১৬টি আক্রমণ করে পোস্টে রাখা ৭টি শটের পাঁচটিতেই এসেছে গোল, ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেছিল জাভির দল। বার্সার হয়ে বাকি ৩ গোল রাফিনিয়া, আনসু ফাতি ও ফ্রাঙ্ক কেসির।
স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সেউতা মরক্কোর সীমান্তবর্তী শহর। বার্সেলোনা শহর থেকে আকাশপথে সেউতার দূরত্ব ৮৯২ কিলোমিটার। সেখানে যেতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছিল বার্সা। তিনটি হেলিকপ্টারের মধ্যে দুটিতে খেলোয়াড়েরা এবং অন্যটিতে কোচিং স্টাফ ছিল।
স্পেনের সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ জানিয়েছে, বার্সেলোনা থেকে মালাগায় গিয়েছিলেন জাভিরা। সেখান থেকে সেউতার উদ্দেশে উড়াল দেওয়া হেলিকপ্টার তিনটি নামার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে লেভানডফস্কিদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেউতায় ২০১০ সালে সর্বশেষ গিয়েছিল বার্সা। সেবারও একইভাবে গিয়েছিল ক্লাবটির খেলোয়াড়েরা।
জয়ের পর বার্সার কোচ জাভি বলেছেন, ‘আমরা (পরের রাউন্ডে) ঘরের মাঠে খেলতে চাই। সব কটি দলই লা লিগার। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পেরে ভালো লাগছে।’ শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে ড্র অনুষ্ঠিত হবে। আতলেতিকো মাদ্রিদ, ভ্যালেন্সিয়া, অ্যাথলেটিক বিলবাও, ওসাসুনা, রিয়াল সোসিয়েদাদ, রিয়াল মাদ্রিদ, সেভিয়া ও বার্সা উঠেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।