জেমি ডের পাওনা টাকা দিতে বাধ্য হলো বাফুফে
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছ থেকে পাওনা অর্থ না পেয়ে ফিফায় অভিযোগ করেছিলেন জেমি ডে। অবশেষে পাওনা বুঝে পেয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক এই ব্রিটিশ কোচ।
পাওনা বুঝে পাওয়ার কথা জানিয়ে জেমি ডে আজ ইংল্যান্ড থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবশেষে গত মঙ্গলবার বাফুফের কাছ থেকে আমি আমার পাওনা অর্থ বুঝে পেয়েছি। প্রায় ৯৫ ভাগ টাকা পেয়ে গেছি। বাকিটার জন্য অপেক্ষা করছি। তবে সেটা খুব সামান্য অর্থ।’
ঠিক কত টাকা পেয়েছেন, জানতে চাইলে জেমি জানিয়েছেন, অঙ্কটা ৯০ হাজার ডলারের আশপাশে। অবশিষ্ট বকেয়া বাফুফের অনুদান থেকে ফিফাকে কেটে রাখতে বলেছে বাফুফে। অনুদান থেকে সমম্বয় করতে ফিফাকে অনুরোধ করেছে বাফুফে।
জেমি ডের পাওনা সময়মতো পরিশোধ না করায় বাফুফেকে ভালোই ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। ফিফার ডেভেলপমেন্ট তহবিল বন্ধের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল একটা সময়। তবে দেরিতে হলেও জরিমানাসহ জেমি ডের পাওনা পরিশোধ করেছে বাফুফে।
এর আগে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও অর্থ কমিটির প্রধান প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, জেমি ডের পাওনা পরিশোধ করতে প্রয়োজনে ব্যাংকঋণ নেবেন তাঁরা। সেভাবেই বাফুফে টাকা পরিশোধ করেছে কি না, তা জানতে আজ সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিন বলেন, শেষ পর্যন্ত ব্যাংকঋণ নিয়ে জেমির পাওনা শোধ করা হয়েছে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপ সাফের আগে জেমিকে হঠাৎ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় বাফুফে। তখনো তাঁর চুক্তি প্রায় এক বছর বাকি ছিল। কিন্তু সেই এক বছরের বেতন–ভাতা না পেয়ে ফিফায় নালিশ ঠুকে দেন জেমি। এরপর ফিফা বাফুফেকে জরিমানাসহ গত বছর ডিসেম্বরের মধ্যে জেমির পাওনা পরিশোধ করতে বলেছিল। কিন্তু জরিমানার টাকা অন্য কোনো খাত থেকে দেওয়া যাবে না, দিতে হলে ব্যাংকঋণ নিতে হবে—বাফুফে তখন এসব যুক্তিই দিয়েছিল।