ফ্রান্স ১ : ০ অস্ট্রিয়া
কিলিয়ান এমবাপ্পের ‘বন্ধুত্ব’ তাহলে শুধু বিশ্বকাপের সঙ্গে, ইউরোর সঙ্গে নয়। নইলে দুই বিশ্বকাপ মিলিয়ে যার ১২টি গোল, তিনি ইউরোতে এখন পর্যন্ত একটাও গোল কেন পাবেন না!
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ইউরো খেলছেন। সর্বশেষ ইউরোতে চারটি এবং এই ইউরোতে আজ প্রথম ম্যাচ অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে, এই ৫ ম্যাচের একটাতেও গোল করতে পারলেন না অনেকের চোখে এই সময়ের বিশ্বসেরা ফুটবলার।
অবশ্য গোল না পেলেও ডুসেলডর্ফে আজ ফ্রান্সের ১-০ গোলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান এমবাপ্পেরই। তাঁর শট ঠেকাতে গিয়েই তো আত্মঘাতী গোল করলেন অস্ট্রিয়ান সেন্টার ব্যাক ম্যাক্সিমিলান ওবার। ফ্রান্সের কোচ হিসেবে দিদিয়ের দেশমের এটি ১০০তম জয়। তাঁর অধীনে এ দিন ১৫৬তম ম্যাচটা খেলেছে ফ্রান্স। খুব দাপুটে না খেলতে পারলেও ৩ পয়েন্ট নিয়ে ইউরো শুরু করা গেল, এটাই বোধ হয় ফ্রান্সের জন্য বেশি স্বস্তির।
গোল না পেলেও শুরু থেকে ৯০ মিনিটে বদলি হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একাধিক সুযোগ তৈরি করেছেন এমবাপ্পে। ৫৪ মিনিটে তো অস্ট্রিয়ার গোলকিপারকে একেবারে একা পেয়েও বল বাইরে মেরে দিয়েছেন সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানো এই ফরোয়ার্ড।
৩৮ মিনিটেই আত্মঘাতী গোল খেয়ে যাওয়া অস্ট্রিয়া অবশ্য হাল ছেড়ে দেয়নি। বরং পুরোটা সময় লড়েছে ফ্রান্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। মনে হয়েছে, যেকোনো সময় ওরা হয়তো সমতা ফেরাবে। তবে শেষ পর্যন্ত আর সেই সমতাসূচক গোলটা পায়নি অস্ট্রিয়া।
ম্যাচের শেষ দিকে হেড করতে গিয়ে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার কেভিন দানসোর সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পান এমবাপ্পে। তাঁর নাক থেকে রক্ত ঝরতেও দেখা যায়। বাড়তি কোনো ঝুঁকি না নিয়ে তাই তাঁকে বদলি করেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম, নামান অলিভিয়ের জিরুকে। ৩৭ বছর ২৬১ দিন বয়সী জিরু তাতে রেকর্ড বইতে নাম তোলেন ইউরোতে ফ্রান্সের সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হয়ে।