তারিক-মোরছালিনের ফেরা, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের
তারিক কাজীর চোখেমুখে রাজ্যের তৃপ্তি, ‘ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচটা মিস করেছি চোটের কারণে। ভালো লাগছে ফিরতে পেরে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরেকটি বড় পরীক্ষা সামনে। ৬ জুন কিংস অ্যারেনায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শক্তিশালী এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ। নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার কাছেই মেলবোর্নে ৭ গোলের বিরাট হার সঙ্গী হয়েছিল। এ ম্যাচের আগে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ২৬ জনের দলে চোট কাটিয়ে ফিরেছেন ডিফেন্ডার তারিক কাজী আর শেখ মোরছালিন। আজ কিংস অ্যারেনায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে প্রথম অনুশীলন সেশনে তারিক-মোরছালিন দুজনই বেশ ফুরফুরে।
চোট কাটিয়ে ফেরার আনন্দ, সেই সঙ্গে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার রোমাঞ্চ। তারিক সেই রোমাঞ্চের কথাই বললেন, ‘ম্যাচটা অনেক কঠিন। অস্ট্রেলিয়া কতটা শক্তিশালী, এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। ওরা বিশ্বকাপ খেলা দল। অনেকটা ইউরোপীয় ধাঁচের দল। তবে দেশের মাটিতে এমন দলের বিপক্ষে খেলাটাও দারুণ ব্যাপার। আশা করি, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমরা ভালো করব।’
তখনো অনুশীলন শুরু হয়নি। কিংসের অনুশীলন মাঠের পাশেই যে ড্রেসিংরুম, সেটির বারান্দাতেই চুপচাপ বসে ছিলেন মোরছালিন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নভেম্বরের ম্যাচটিতে পুরো সময় খেলেননি। ৬ জুনের ম্যাচ নিয়ে অল্প করেই বললেন তিনি, ‘ম্যাচটা কঠিন। আমাদের বড় পরীক্ষা।’ চোট থেকে ফেরা নিয়ে কথা, ‘ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি খেলতে পারিনি। ভালো চোটেই পড়েছিলাম। ভালো লাগছে, চোট কাটিয়ে ফিরতে পেরেছি।’
অনুশীলন নিয়ে কাবরেরা সব সময়ই কঠোর। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি নিয়ে। আজও সংবাদকর্মীরা অনুশীলনের প্রথম ১৫ মিনিট দেখার সুযোগ পেলেন। এর মধ্যেই ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে ফেলতে হবে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার থাকলে বলে নিতে হবে। এই সময়ে চলল হালকা শারীরিক কসরত। ম্যাচ–কৌশল পরিস্থিতিতে অনুশীলন বা অন্য খুঁটিনাটি হলো সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টির আড়ালে।
দলের পক্ষ থেকে কথা বলতে এলেন সিনিয়র সোহেল রানা। তাঁর মুখেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে কঠিন পরীক্ষা দেওয়ার কথা। তবে তাঁর কণ্ঠে আশাবাদ আবহাওয়া ও ঘরের মাঠে খেলা বলেই, ‘আমাদের মাঠে যারাই খেলতে এসেছে, তাদের সঙ্গেই আমরা ভালো করেছি। আশা করি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা কঠিন হলেও আমরা লড়াই করব। ভালো খেলব আশা করি। আবহাওয়া অবশ্যই কিছুটা বাড়তি সুবিধা দেবে। তবে সেই সুবিধা আদায় করে নিতে হবে। মেলবোর্নে খুব ঠান্ডা ছিল, তীব্র ঠান্ডা বাতাসে আমাদের সেদিন খুব অসুবিধা হচ্ছিল।’
ঘরের মাঠে খেলা বলেই বাড়তি কিছুর আশা তপু বর্মণের। মেলবোর্নের মতো ৭ গোল বাংলাদেশ ঢাকায় হজম করবে না বলেই বিশ্বাস তাঁর, ‘ওরা নিজেদের মাঠে যেভাবে আমাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছে, আমাদের মাঠে সেটি করতে পারবে না বলেই মনে করি আমি। যে ব্যবধানে মেলবোর্নে আমরা হেরেছি, সেই ব্যবধানে ঢাকায় আমরা হারতে চাইব না। আমরা লড়াই করব। আশা করি, একটা লড়াকু ম্যাচই হবে।’