কোচ বদলেও ভাগ্য বদলাচ্ছে না জার্মানির
জার্মানির ফুটবল ছন্দে ফিরবে কবে? এমন প্রশ্ন এখন চাইলে যে কেউ তুলতেই পারেন। ব্যর্থতার দায়ে গত সেপ্টেম্বরে ছাঁটাই হন হানসি ফ্লিক। তাঁর জায়গায় কোচ হয়ে আসেন ইউলিয়ান নাগলসমান। কিন্তু কোচ বদলালেও ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। নাগলসমানের অধীন শেষ তিন ম্যাচে জয়হীন জার্মানি। যেখানে আবার শেষ দুই ম্যাচের দুটিতেই হার। গত রোববার তুরস্কের কাছে ৩-২ গোলে হারা দলটি আজ অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে হেরেছে ২-০ গোলে। জার্মানির হারের ক্ষত আরও বেড়েছে লেরয় সানে লাল কার্ড দেখায়।
জার্মানির এমন দুরবস্থার মধ্যেও সমর্থকদের জন্য স্বস্তি হচ্ছে দলটিকে অন্তত বাছাই খেলে ইউরোর টিকিট পেতে হচ্ছে না। আয়োজক দেশ হিসেবে সরাসরি ইউরো খেলার সুযোগ পাবে জার্মানি। কে জানে, বাছাইপর্ব খেলতে হলে জার্মানিকে হয়তো ২০২৪ ইউরো দর্শকের আসনে বসেই দেখতে হতো! সাম্প্রতিক সময়ে এমনই বাজে সময় পার করছে জার্মানির ফুটবল।
নাগলসমান অবশ্য জাতীয় দলে নিজের অধ্যায়টা ভালোভাবেই শুরু করেছিলেন। নিজের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারায় তাঁর দল। কিন্তু পরের ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে জার্মানি ড্র করে ২-২ গোলে। এরপর হারল তুরস্ক ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে।
ভিয়েনায় অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণ ও সুযোগ তৈরিতে পেরে উঠেনি জার্মানরা। ‘গেগেনপ্রেসিং’য়ের গডফাদারখ্যাত রালফ রাগনকিকের অস্ট্রিয়ার কৌশলী ফুটবলও খুব বেশি সুযোগ দেয়নি জার্মানদের। আক্রমণাত্মক অস্ট্রিয়াকে ম্যাচের ২৯ মিনিটে লিড এনে দেন মার্সেল সাবিতজার। আর দ্বিতীয়ার্ধের ৭৯ মিনিটের জার্মানির জালে দ্বিতীয়বার বল জড়ান ক্রিস্তফ বাউমগার্টনার। এর আগে ৪৯ মিনিটে অবশ্য ১০ জনের দলে পরিণত হয় জার্মানির। অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডার ফিলিপ এময়েনেকে ধাক্কা দিয়ে লাল কার্ড দেখেন সানে।
ম্যাচ হারের পর হতাশ নাগলসমান বলেছেন, ‘আমরা স্বাধীনভাবে খেলতে পারিনি। প্রতিটি জায়গায় আমাদের অবিশ্বাস্যরকমের কাজ করতে হবে। আমাদের পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে কিন্তু আমাদের এমন শিকারের পরিণত হওয়া চলবে না।’ এ সময় নিজেদের খেলা নিয়ে নাগলসমান আরও বলেছেন, ‘আমরা অনুশীলনে ভালোই খেলছি। কিন্তু মাঠে সেটার ঠিকঠাক রূপান্তর করতে পারছি না। আমাদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আছে। আমাদের গত কয়েক মাসের দিকে তাকালে সেটা অবশ্য একেবারে অস্বাভাবিক নয়।’
হতাশা প্রকাশ করেছেন জার্মান অধিনায়ক ইলকাই গুন্দোয়ানও, ‘দলের মধ্যে হতাশা আর হতাশা। দিন শেষে আমরা অস্ট্রিয়ানদের জন্য সুযোগ তৈরির কাজটা সহজ করে দিয়েছি।’
একই রাতে ইউরো বাছাইয়ের ম্যাচে ফ্রান্সকে ২-২ গোলে রুখে দিয়েছে গ্রিস। এ ড্রয়ে বাছাইয়ে প্রথমবারের মতো জয়বঞ্চিত হলো বিশ্বকাপ রানার্সআপরা। আগেই শীর্ষে থেকে ইউরোর টিকিট পাওয়ায় এই ম্যাচে দলের সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে একাদশের বাইরে রাখে ফ্রান্স। তাতে অবশ্য খুব একটা সমস্যা হয়নি।
ম্যাচের ৪২ মিনিটে কোলো মুয়ানির গোলে লিড নেয় ফ্রান্স। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে গ্রিস। ৫৬ ও ৬১ মিনিটে দুই গোল করে এগিয়ে যায় ২০০৪ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। তবে ৭৪ মিনিটে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান ইউসোফ ফোফানা। এই গোলের পর শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।