মিরাজুলসহ যুব সাফজয়ী চারজন কাবরেরার চূড়ান্ত দলে
অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন হাভিয়ের কাবরেরা। ধারণা করা হচ্ছিল, সাফজয়ী যুব দল থেকে কাউকে জাতীয় দলের ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াডে ডাকতে পারেন তিনি। সেটাই হলো। আগামী ৫ ও ৮ সেপ্টেম্বর থিম্পুতে ভুটানের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন সাফজয়ী অনূর্ধ্ব-২০ দলের চার খেলোয়াড়—ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম, রাব্বি হোসেন, চন্দন রায় ও ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ।
সাফে ৪ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন এ মৌসুমে ঢাকা আবাহনীতে যোগ দেওয়া মিরাজুল। কোনোদিন ক্যাম্পে ডাক না পেয়েও সরাসরি জাতীয় দলে ঢুকে গেছেন তিনি, শাকিল আহাদও তা–ই। চন্দন রায় অবশ্য এর আগেই জাতীয় দলে খেলেছেন, রাব্বি হোসেন ক্যাম্পে ডাক পেয়েছিলেন।
এর আগে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যে ১৪ জনকে ডাকা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে বাদ পড়েছেন তিন মিডফিল্ডার দিদারুল আলম, সৈয়দ কাজেম কিরমানি ও জাভেদ আহমেদ এবং ফরোয়ার্ড আরমান আকাশ। কাটছাঁট করে রাখা ১০ জনের সঙ্গে আজ আরও ১৩ জন যোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় ১১ জন। বাকি দুজন মিরাজুল ও শাকিল।
প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়া দুই গোলরক্ষক ভাই মোহাম্মদ সুজন হোসেন ও পাপ্পু হোসেন আছেন চূড়ান্ত দলেও। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে দুই গোলরক্ষক ভাইয়ের একসঙ্গে জাতীয় দলের ২৩ জনের স্কোয়াডে থাকা এই প্রথম।
আগামীকাল বেলা ১টা ২০ মিনিটে থিম্পুর উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবে বাংলাদেশ।
২৩ জনের চূড়ান্ত দল
গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, মোহাম্মদ সুজন হোসেন, পাপ্পু হোসেন।
ডিফেন্ডার: তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, বিশ্বনাথ ঘোষ, মেহেদি হাসান, রহমত মিয়া, ঈসা ফয়সাল, শাকিল হোসেন, শাকিল আহাদ।
মিডফিল্ডার: মোহাম্মদ হৃদয়, জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা, সোহেল রানা (জুনিয়র), চন্দন রায়, মজিবর রহমান, মিরাজুল ইসলাম।
আক্রমণভাগ: শাহরিয়ার ইমন, রাকিব হোসেন, শেখ মোরছালিন, রাব্বি হোসেন, ফয়সাল আহমেদ।