সান সিরোতে যেমন শুরু দরকার ছিল, সেটাই পেয়েছিল এসি মিলান। ৩৬ সেকেন্ডে গোল করে গত সপ্তাহে ফেইনুর্ডের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার হতাশা দূর করেন মিলান ফরোয়ার্ড সান্তিয়াগো হিমেনেজ। ডাচ ক্লাবটি ছেড়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সাতবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে যোগ দেন হিমেনেজ। কী ভাগ্য, সাবেক ক্লাবের জালে গোল করে আনন্দে ভেসে যাওয়ার মতো উদ্যাপন করেননি, কিন্তু শেষ রক্ষাও হয়নি।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে একই মৌসুমে হিমেনেজ যে দলের হয়ে লিগ পর্বে গোল করেছেন, ক্লাব পাল্টানোর পর সেই দলের বিপক্ষেই প্লে–অফের ফিরতি লেগে গোল করলেন ঠিকই, তবে জিতল তাঁর সাবেক ক্লাবই। দুই লাল কার্ডের এই ম্যাচে ৭৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হুলিয়ান কারানজার গোলে ফিরতি লেগে সমতায় ফেরে ফেইনুর্ড। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে ডাচ ক্লাবটি।
মিলানকে বিদায় নিতে হলো প্লে–অফ পর্ব থেকেই। ফিরতি লেগে ৫১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইতালিয়ান ক্লাবটির ফরাসি ফুলব্যাক থিও হার্নান্দেজ। যোগ করা সময়ের ৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ফেইনুর্ডের রাইটব্যাক জিভাইরো রিড। ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোয় উঠল ফেইনুর্ড। হারের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন মিলানের কোচ সের্হিও কনসেইসাও, ‘এটা বড় হার এবং আমি অনেক ভুল করেছি। এই হারের জন্য আমি দায়ী। থিও কিংবা অন্য কেউ নয়, এই বিদায়ের জন্য আমি দায়ী।’
যোগ করা সময়ে বায়ার্নের স্বস্তি
সেল্টিক পার্কে প্লে–অফের প্রথম লেগ ২-১ গোলে জিতেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। স্কটিশ ক্লাবটির বিপক্ষে ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফিরতি লেগ জিততে ঘাম ছুটে গিয়েছিল ছয়বারের চ্যাম্পিয়নদের। ৬৩ মিনিটে বায়ার্ন সেন্টারব্যাক কিম মিন জায়ের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করে সেল্টিককে এগিয়ে দেন উইঙ্গার নিকোলাস কুন।
প্রথমার্ধে গোল করার আরও তিনটি সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি সেল্টিক। বায়ার্ন স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনও স্কটিশ ক্লাবটির পোস্টে বল মেরেছেন। তবে সেল্টিকের সহজ সুযোগ নষ্টের আফসোস বেড়েছে যোগ করা সময়ে। ৯৪ মিনিটে আলফন্সো ডেভিসের গোলে ফিরতি লেগে সমতায় ফেরে বায়ার্ন। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ১-১ গোল ড্র হওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে বায়ার্ন।
লিসবনে শেষ ষোলোয় বেনফিকা
মোনাকোর মাঠে প্রথম লেগ ১-০ গোলে জিতেছিল পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা। ছয় গোলের রোমাঞ্চকর ফিরতি লেগ শেষ পর্যন্ত ড্র হলেও শেষ ষোলোয় উঠে বেনফিকাই শেষ হাসি হেসেছে। ৩-৩ গোলে ফিরতি লেগ ড্র করায় দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে বেনফিকা। ১-১ গোলের ড্রয়ে প্রথমার্ধ শেষ করেছিল দুই দল। বিরতির পর আরও দুটি করে গোল করে দুই দল।
ইতালিতে আতালান্তার দুঃখ
বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুগার মাঠে প্লে–অফের প্রথম লেগ ২-১ গোলে হেরেছিল ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তা। ঘরের মাঠে ফিরতি লেগেও ৩-১ গোলে হেরেছে জিয়ান পিয়েরো গাসপেরেনির দল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে ব্রুগা।