কাতার বিশ্বকাপে আক্ষেপও আছে মেসির
প্রতিটি বিশ্বকাপে অন্তত এমন একটা ম্যাচ থাকেই।
যেসব ম্যাচে মাঠের লড়াই ছাপিয়েও আলোচনায় মুখ্য হয়ে ওঠে মাঠের বাইরের ব্যাপারগুলো; যে ম্যাচগুলো বিতর্কের, যে ম্যাচগুলো ইতিহাসে ঠাঁই পায় খেলোয়াড়দের উত্তপ্ত আচরণ ও উত্তেজনার জন্য; কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল তেমন এক ম্যাচই ছিল।
আর্জেন্টিনা সে ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর নেদারল্যান্ডস ব্যবধান ২-২ করে ফেলে ভাউট ভেগহোর্স্টের জোড়া গোলে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময় ও টাইব্রেকারে। তবে টাইব্রেকারে গিয়ে শেষ হাসিটা হেসেছে আর্জেন্টিনা। পরে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনাল জিতে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে মেসির আর্জেন্টিনাই।
ম্যাচের মধ্যে এবং ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়েরা জড়িয়ে পড়েছিলেন কথা–কাটাকাটিতে। মেসি সেদিন ভেগহোর্স্টকে ধমকও দেন। বিশ্বকাপ জেতার এক মাসের বেশি সময় পর এসে মেসির কাছে ভেগহোর্স্টকে শাসানোর মুহূর্তটি আক্ষেপের। আর্জেন্টাইন তারকা কাতার বিশ্বকাপের ওই মুহূর্তটুকুই ভুলে যেতে চান চিরদিনের জন্য।
আর্জেন্টিনার রেডিও ‘উরবানা প্লেই’য়ে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মেসি। এতে বিশ্বকাপ জয়সহ অনেক প্রসঙ্গই এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই এসেছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের প্রসঙ্গও। সে ম্যাচে মেসির মেজাজ দেখেছে গোটা বিশ্ব। আর্জেন্টাইন তারকা এখন আক্ষেপে পুড়ছেন, সেদিন কেন তিনি মাথা গরম করেছিলেন। খেলার পর ভেগহোর্স্ট নাকি মেসির জার্সিও চেয়েছিলেন। কিন্তু মেসি জার্সি না দিয়ে ভেগহোর্স্টকে বলেছিলেন, ‘তোমার সমস্যা কী? দূর হও!’
সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, তিনি এ আচরণের জন্য নিজেই হতাশ। ভেগহোর্স্টের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই বলেই জানিয়েছেন, ‘আমি আসলে সেদিন যে আচরণ করেছিলাম, সেটি নিয়ে নিজেই নিজের ওপর বিরক্ত। ভেগহোর্স্টকে সেদিন যা বলেছিলাম, সেটাও ঠিক হয়নি। খুব চাপের সময় এসব হয়। মানুষ অনেক কিছুই করে বসে।’
বেসিকতাস থেকে বিশ্বকাপের পরপরই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন ভেগহোর্স্ট। গত সপ্তাহে ম্যান ইউনাইটেডের জার্সিতে প্রথম গোলও পেয়েছেন। ম্যাচচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ এরিক টেন হাগের মনোযোগ কাড়তে মেসিদের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, সেটি না বললেও চলছে।