গুন্দোয়ানের গায়ে সিটির জার্সি, বিভ্রান্ত বার্সেলোনার সমর্থকেরা
মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকে আলোচনায় ইলকাই গুন্দোয়ান। দলবদলের শুরুতেই ম্যানচেস্টার সিটির এই জার্মান মিডফিল্ডারকে দলে টানতে মরিয়া হয়ে মাঠে নামে বার্সেলোনা। ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। যেকোনো মুহূর্তে গুন্দোয়ানকে দুই বছরের জন্য চুক্তির ঘোষণা দেবে বার্সেলোনা।
এই মিডফিল্ডারের দলবদল যখন প্রায় নিশ্চিত, তখন এক পোস্টে বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। তারা সিটির নতুন মৌসুমের জার্সিতে গুন্দোয়ানের একটি ছবি পোস্ট করে টুইটারে। এই ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘কী দারুণ জার্সি।’ গুন্দোয়ানের যখনে বার্সায় যাওয়া নিশ্চিত ধরে নেওয়া হচ্ছে, তখন এ ধরনের পোস্ট দেখে দ্বিধায় পড়েন বার্সেলোনার সমর্থকেরা। পরে অবশ্য দ্রুত নিজেদের সেই পোস্ট সরিয়েও নেয় ইংলিশ ক্লাবটি।
সিটির এমন বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বার্সেলোনার সমর্থকদের কেউ কেউ। টুইটারে একজন লিখেছেন, ‘সে এখন তাদের খেলোয়াড় নয়।’ অনেকে আবার পিএসজিও যে মেসিকে নিয়ে একই কাণ্ড করেছে, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
২০১৬ সালে পেপ গার্দিওলা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে গুন্দোয়ানকে সিটিতে নিয়ে আসেন।
এরপর নিজেকে ইংলিশ ক্লাবটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন গুন্দোয়ান। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমেও দলের ট্রেবল জয়ে দারুণ ভূমিকা ছিল গুন্দোয়ানের। ছিলেন অধিনায়কও। তবে এর মধ্যে গুঞ্জন শোনা যায় তাঁর দলবদল নিয়ে। তাঁকে নিয়ে বার্সেলোনার জোর আগ্রহের কথাও শোনা যায়। গুন্দোয়ান নিজেও নাকি এখন ক্লাব বদলাতে চান।
গুন্দোয়ানকে নিয়ে কথা বলেছেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর প্রতি বার্সার আগ্রহের কথা স্বীকার করে নেন গার্দিওলা। তিনি বলেছিলেন, ‘গুন্দোকে সই করানোর ব্যাপারে বার্সেলোনার আগ্রহ সম্পর্কে আমার জানা আছে। তবে আমরা তাঁকে ক্লাবে ধরে রাখার ব্যাপারে আগ্রহী। আমি আশা করি, সে আমাদের সঙ্গেই থাকবে। তবে বার্সা যদি তাকে দলে ভেড়াতে পারে, তবে তারা দারুণ একজন খেলোয়াড় পাবে।’
গার্দিওলা গুন্দোয়ানকে ধরে রাখার আশার কথা বললেও সিটি কিন্তু তাঁকে ছেড়ে দেওয়া খেলোয়াড়দের তালিকায় রাখে। যদিও এ বিষয়ে ক্লাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। তবে সিটি কিছু না বললেও পরিস্থিতি ও সমীকরণ গুন্দোয়ানের বার্সায় যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার বলেই জানাচ্ছে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।