মেসিকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম দিচ্ছেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পাচ্ছেন মেসিরয়টার্স

দুই বছরও হয়নি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন লিওনেল মেসি। তবে এরই মধ্যে ‘ফুটবল-বিমুখ’ মার্কিন মুলুকে ভালোই ছাপ রেখেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। এতটাই যে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পেতে যাচ্ছেন অনেকের চোখেই সর্বকালের সেরা এই ফুটবলার। আজই যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে থেকে পদক বুঝে নেবেন মেসি।

ফুটবল নয়, যুক্তরাষ্ট্রে খেলাটা পরিচিত সকার নামে। আর সেখানে জনপ্রিয়তায় বাস্কেটবল, বেসবল ও এনএফএলের (আমেরিকান ফুটবল) চেয়ে পিছিয়ে আছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাটি। ২০২৩ সালে সেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। আর তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলকে এক ধাক্কাতেই অনেকটা এগিয়ে দিয়েছেন মেসি। সেই মেসি যুক্তরাষ্ট্রের নারী ফুটবলার মেগান রাপিনোর পর মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে পাচ্ছেন এই সম্মান।

মেসি, বাস্কেটবল কিংবদন্তি ম্যাজিক জনসন, হলিউড তারকা ডেনজেল ওয়াশিংটন, মাইকেল জে ফক্স, সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনসহ মোট ১৯ জন এবার পাচ্ছেন প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম।

বাস্কেটবল কিংবদন্তি ম্যাজিক জনসনও পাচ্ছেন প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম
এএফপি

হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে আজই দিয়েছে এ খবর। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্মাননা পেতে যাওয়া ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকটু এগিয়ে নেওয়ার স্বীকৃতিই পাচ্ছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বাস করেন, বড় নেতারা বিশ্বাসে অবিচল থাকেন, সবাইকে প্রাপ্য সম্মান দেন এবং ভালো আচরণকে সবার ওপরে স্থান দেন। এই ১৯ আমেরিকানের প্রত্যেকেই ভালো নেতা, যাঁরা কিনা আমেরিকাকে আরেকটু এগিয়ে নিয়েছেন। তাঁরা ভালো নেতা, কারণ তাঁরা ভালো মানুষ, যাঁরা দেশের ও বিশ্বের জন্য অসাধারণ অবদান রেখেছেন।

আরও পড়ুন

বার্সেলোনা ও পিএসজির সাবেক খেলোয়াড় মেসি আটবার করে জিতেছেন ব্যালন ডি’অর ও ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার। বিশ্বকাপসহ মোট ৪৫টি ট্রফি জেতা মেসিই ট্রফি জয়ে সর্বকালের সেরা। ফুটবল মাঠে প্রতিপক্ষের বুকে ভয়ের স্রোত বইয়ে দিলেও মাঠের বাইরে দিল-দরিয়াই মেসি। হোয়াইট হাউজ মেসিকে পুরস্কারে জন্য মনোনীত করার কারণ হিসেবে শিশুদের জন্য তাঁর দাতব্য কাজের কথা উল্লেখ করেছে, তিনি লিও মেসি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার প্রসারে সাহায্য করে যাচ্ছেন, পালন করছেন ইউনিসেফের (আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল) শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্বও।

আরও পড়ুন