ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কাতার ছেড়ে যাওয়ার হুমকির পর পর্তুগাল দলে ভাঙনের সুর শুনতে পেয়েছেন অনেকে। কিন্তু আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দলটির অধিনায়ক রোনালদো বললেন, পর্তুগাল এতটাই একতাবদ্ধ যে বাইরের কোনো শক্তি তাদের ভাঙতে পারবে না!
পর্তুগালের পত্রিকা রেকর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পর্তুগাল দলে ভাঙনের সুর বাজতে শুরু করে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডে ৬–১ গোলে জেতা ম্যাচের আগেই। রোনালদো যখন বুঝতে পারেন, এ ম্যাচ তিনি শুরুর একাদশে থাকছেন না, তখন নাকি কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে উত্তপ্ত আলোচনার পর কাতার ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, কখনোই রোনালদো কাতার থেকে জাতীয় দল ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেননি।
বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন রোনালদো নিজেই। ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো আজ সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম বলেছেন, ‘এটা (পর্তুগাল দল) এমন একটা গ্রুপ, যারা খুবই একতাবদ্ধ। এই একতা বাইরের কোনো শক্তি ভাঙতে পারবে না।’ রোনালদো যোগ করেন, ‘আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে ভয় না পাওয়ার মতো একটা জাতি। আমরা এমন একটা দল, যারা শেষ সময় পর্যন্ত স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়ব।’
শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে খেলবে পর্তুগাল। এ ম্যাচেও হয়তো দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রোনালদোকে বেঞ্চে বসিয়ে আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিক–হিরো গনসালো রামোসকে শুরুর একাদশে খেলাবেন সান্তোস। কে জানে, সেটা হলে কী প্রতিক্রিয়া দেখাবেন রোনালদো!
তবে বিশ্বকাপের এ পর্যায়ে এসে রোনালদো দৃষ্টিকটু কিছু করবেন না বলেই বিশ্বাস পর্তুগালের মিডফিল্ডার ওতাভিওর। পর্তুগাল দলের একতার বিষয়টি নিয়ে রোনালদোর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন তিনি, ‘ক্রিস্টিয়ানো যা বলেছে, সেটা স্ফটিকস্বচ্ছ। সে একদম ঠিকই বলেছে। বাইরের কোনো কিছুই আমাদের ভাঙতে পারবে না। আমাদের বন্ধন খুব দৃঢ়। আমরা শুধুই পর্তুগালের হয়ে খেলা আর জয়ের কথা ভাবছি।’
একই সঙ্গে ওতাভিও এ–ও বলেছেন, শুরুর একাদশে না থাকায় রোনালদোর খেপে যাওয়াটাও স্বাভাবিক, ‘আমি মনে করি, কেউ যখন খেলার সুযোগ পায় না, তার কাছে খারাপই লাগে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখনো আমরা খুবই একতাবদ্ধ। আপনারা ছবি বা ভিডিও দেখলেই বুঝবেন, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখনো দলের জন্য প্রাণ দিয়ে দিচ্ছে।’