গার্দিওয়ালা বললেন, এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা সহজ সিটির জন্য
ম্যানচেস্টার সিটি গত মৌসুমে ‘ট্রেবল’ জিতেছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ জয়ের সঙ্গে ঘরে তুলেছে সবচেয়ে আরাধ্য শিরোপাটি—চ্যাম্পিয়নস লিগ। এই টুর্নামেন্ট জিততেই তো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢেলে স্কোয়াড সমৃদ্ধ করেছে সিটি। গত মৌসুমে সেই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতায় এবার নতুন মৌসুম শুরুর আগে প্রসঙ্গটি ওঠাই স্বাভাবিক।
কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা যেন বিষয়টি পাত্তাই দিতে চাইলেন না। ভাবখানা এমন যে চ্যাম্পিয়নস লিগে মাত্র একটি শিরোপা জিতে সিটি এমন আহামরি কিছু করে ফেলেনি!
সার্বিয়ান ক্লাব রেড স্টার বেলগ্রেডের মুখোমুখি হয়ে আজ রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুম শুরু করবে সিটি। গার্দিওলার সামনে টানা দ্বিতীয় মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে লিভারপুল এবং নটিংহাম ফরেস্টের পাশে বসার হাতছানি। নিজেদের প্রথম শিরোপা জেতার পরের মৌসুমে সেটি ধরে রাখার কীর্তি যে শুধু ওই দুই ক্লাবেরই। তবে কাজটা মোটেও সহজ হবে না, তা-ই না? ভুল। গার্দিওলার কথা শুনলে অন্তত তেমনই মনে হবে, ‘এটা তুলনামূলক সহজ হবে। প্রথমটা জেতাই কঠিন।’
গার্দিওলা এরপর আসল কথাটা বললেন। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে তাঁরা কী ভাবছেন—সেসব কথা। আর এই ভাবনাগুলো বলতে গিয়েই গার্দিওলা যুক্তি দিলেন, ‘আমাদের ক্লাবের জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় অবিশ্বাস্য। কিন্তু এটাও ভাবতে হবে, কতগুলো দল একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে? অনেক। তাই একবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমরা এমন আহামরি কিছু করে ফেলিনি। তবে এটা সত্য যে আমরা খুবই গর্বিত।’
গত ১০ জুন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় সিটি। গার্দিওলা জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলের সে ফাইনালটি তিনি পরে আর দেখেননি, ‘আমি ম্যাচটা আর দেখিনি। ভেবেছিলাম তারা শক্ত দল এবং সেটা তারা প্রমাণও করেছে। তারা এবারও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।’
সার্বিয়ান ক্লাব রেড স্টার বেলগ্রেড চ্যাম্পিয়নস লিগের আগের সংস্করণ ইউরোপিয়ান কাপ (১৯৯০-৯১) জিতেছে। সাবেক যুগোস্লাভিয়ার সবচেয়ে সফল এই ক্লাবটির মুখোমুখি হওয়া নিয়ে গার্দিওলার ভাষ্য, ‘খুবই আক্রমণাত্মক দল। তারা খেলোয়াড় ধরে ধরে মার্ক করে না। মাঝেমধ্যে করলেও সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। ৫-৩-২ ফরমেশনে খেলার ছকও দ্রুত ফেলতে পারে। গত মৌসুমেও মনে আছে তাদের। দারুণ অ্যাথলেট তারা, দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বী, দারুণ মানসিকতা। দেশ এবং সংস্কৃতিও খুব ভালো।’