ফ্রান্স এমবাপ্পেনির্ভর, মানেন না তাঁর সতীর্থ
যে ফরোয়ার্ড চার ম্যাচেই ৫ গোল করে ফেলেন, তাঁকে নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়তি ভাবনা তো থাকবেই।
কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে ইংল্যান্ডও তাই ভাবছে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শনিবার ইংলিশদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রধান হুমকি এমবাপ্পে প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই ৫ গোল করে ফেলেছেন। যে ম্যাচে গোল পাননি, সেটিতে ৬৩ মিনিটে নেমেছিলেন বদলি হয়ে।
২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমের মূল অস্ত্র। তবে ইংল্যান্ড যেন এমবাপ্পেকে আটকে রাখতে পারলেই জয় নিশ্চিত ভেবে না নেয়, সেই হুমকি দিয়ে রেখেছেন ফরাসি মিডফিল্ডার আদ্রিয়াঁ রাবিও।
জুভেন্টাসে খেলা এই মিডফিল্ডার মনে করেন ইংল্যান্ডকে হারাতে এমবাপ্পে ছাড়া আরও অনেক রসদ আছে তাঁর দলের, ‘আমরা এমবাপ্পের ওপর নির্ভর করা দল নই। এটা সত্যি যে সে আমাদের প্রধান অস্ত্র। আমাদের কাজ হচ্ছে ওকে নিজের সেরা খেলাটা খেলার সুযোগ করে দেওয়া। তবে এমবাপ্পে ছাড়াও আক্রমণভাগে আরও অস্ত্র আছে আমাদের।’
যত অস্ত্রই থাক, ইংল্যান্ডকে অবশ্য শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবেই নিচ্ছেন রাবিও। বিশেষ করে দলটির সেট-পিস দক্ষতার কারণে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ১২ গোলের ৯টিই এসেছিল সেট পিস থেকে। এবারও দুটি গোল এসেছে একইভাবে।
রাবিও মনে করছেন, কোয়ার্টার ফাইনালে ইংলিশদের শক্তির এই দিকটিতে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে ফ্রান্সকে, ‘আমার মতে দুই দলের মধ্যে বড় ব্যবধান গড়ে দিতে পারে সেট–পিস। এই কাজে ওরা খুবই ভালো। আমাদেরও একই সামর্থ্য আছে। তবে ওদের বিপক্ষে বেশিই সতর্ক থাকতে হবে। কোনো ভুল করা যাবে না।’
শক্তিমত্তার পাশাপাশি ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের খেলার ধরনও একই বলে মনে করেন পিএসজিতে সাত মৌসুম কাটানো রাবিও, ‘আমার ধারণা, ম্যাচটি উন্মুক্ত থাকবে। দুই দলের খেলার ধরন প্রায় একই রকম। ওদের উইং এবং ফুল–ব্যাকের খেলোয়াড়েরা গতিসম্পন্ন, দ্রুত আক্রমণে উঠে আসতে পারে। আসলে দুই দলই জানে, কীভাবে দ্রুত ওপরের দিকে উঠে আসতে হয়।’