পেনাল্টি ঠেকিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গোলকিপার
ফুটবল মাঠে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা কম নেই। ক্যামেরুনের মার্ক ভিভিয়ান ফোর মৃত্যু এখনো অনেকে মনে রেখেছেন। ২০০৩ সালে কনফেডারেশনস কাপে কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে মারা যান মার্ক ভিভিয়ান ফো। ক্লাব ফুটবলে অনেক আগ থেকেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে।
১৯০৭ সালে মাঠে হেড করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের টমি ব্লাকস্টক। ১৯২৭ সালে শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম বিভাগের ম্যাচ চলাকালে নিউমোনিয়ার কারণে মারা যান স্যাম উইনি। ২০০৬ সালে কাজাখস্তান প্রিমিয়ার লিগে মাঠে ঢলে পড়েন ব্রাজিলের ফুটবলার নিল্টন মেন্দেজ। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে মারা যান। আরনে এসপিলের মৃত্যুও মর্মান্তিক। বেলজিয়ামের তৃতীয় বিভাগের দল উইনকেল স্পোর্ট বি–র গোলকিপার ছিলেন ২৫ বছর বয়সী এসপিল।
ছিলেন—বলতে হচ্ছে, কারণ শনিবার এসকে ওয়েস্ট্রোজেবেকার বিপক্ষে ম্যাচে পেনাল্টি ঠেকিয়েই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন!
বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যম ‘ভিআরটি নিউজ’–এর বরাত দিয়ে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘ল্যান্স’ জানিয়েছে, পেনাল্টি ঠেকিয়ে মাঠেই অচেতন হয়ে পড়েন এসপিল। মেডিকেল দল আধা ঘণ্টার মতো চেষ্টা করেছে তাঁকে জাগিয়ে তোলার। কিন্তু এসপিলের চেতনা ফেরেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি পেয়েছিল ওয়েস্ট্রোজেবেকা। পেনাল্টি ঠেকিয়ে এসপিল অচেতন হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। তবে সংবাদমাধ্যমকে এসপিলের এক স্বজন জানিয়েছেন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে উইনকেল স্পোর্টের সহকারী কোচ স্তেফান ডেয়েরচিনের উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে ল্যান্স। তাঁর ভাষায়, ‘খেলা চলছিল। আমাদের গোলকিপার ক্ষিপ্র গতিতে বলটা ধরার পরই পড়ে যায়। এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।’
আরনে এসপিলের আজ ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। উইনকেল স্পোর্টের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে এসপিলের মৃত্যু নিয়ে লেখা হয়েছে, ‘গোলকিপার আরনে এসপিলের হঠাৎ মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত উইনকেল স্পোর্ট। আরনের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।’