রোনালদোর সেকেন্ডে আয় ১০৯৮ টাকা, তাঁর পেছনে মেসি

ফুটবলারদের মধ্যে আয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোএক্স

মাঠে সেরা সময়টা অনেক আগেই পার করে এসেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু তাঁর আয় বেড়েই চলেছে। সর্বোচ্চ আয় করা ফুটবলারের তালিকায় এবারও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন রোনালদো।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বস গত রাতে ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ করেছে। বছরে রেকর্ড ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার (৩ হাজার ৪১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা) আয় করে সবার ওপরে রোনালদো।

দুইয়ে রোনালদোর দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। তবে মেসির পারিশ্রমিক রোনালদোর অর্ধেকেরও কম—১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার (১ হাজার ৬১৮ কোটি ২৯ লাখ)। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর রোনালদোর পেছনে রইলেন মেসি।

গুরুতর চোটের পর অস্ত্রোপচার ও পুনর্বাসন–প্রক্রিয়া মিলিয়ে ঠিক এক বছর ধরে মাঠের বাইরে থাকা নেইমার তিন নম্বরে। সারা বছর না খেলেও তাঁর পারিশ্রমিক ১১ কোটি ডলার (১ হাজার ৩১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা)।

ফোর্বস খেলোয়াড়দের বার্ষিক আয়ের এই তালিকা করেছে বেতন, বোনাস, পৃষ্ঠপোষকসহ সব ধরনের আয়ের হিসাব বিবেচনায় নিয়ে। এই আয়কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মাঠ থেকে ও মাঠের বাইরে থেকে।

শীর্ষে থাকা রোনালদোর সিংহভাগ আয় আসে মাঠ থেকে; ২২ কোটি ডলার (২ হাজার ৬৩৭ কোটি ২১ লাখ টাকা)। বাকি ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার (৭৭৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা) তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা হয় মাঠে বিভিন্ন খাতের আয় থেকে। ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, রোনালদো সেকেন্ডে ৯.১৬ ডলার বা ১ হাজার ৯৮ টাকা আয় করেন।

১৯৯০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যেসব ক্রীড়াবিদ ফোর্বসের তালিকায় উঠে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে শুধু সাবেক বক্সার ফ্লয়েড মেওয়েদারই এক বছরে রোনালদোর চেয়ে বেশি আয় করেছেন।

রোনালদোর বিলাসবহুল জীবন
এক্স

৩৯ বছর বয়সী রোনালদোর এই আকাশচুম্বী আয় বিশ্ব ফুটবল–বাণিজ্যে তাঁর অতুলনীয় আবেদন ও বিপণনযোগ্যতাকে তুলে ধরে। গত বছর তাঁর পারিশ্রমিক ছিল ২৬ কোটি ডলার (৩ হাজার ১১৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা)। অর্থাৎ, এ বছর পর্তুগিজ মহাতারকার পারিশ্রমিক বেড়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার (২৯৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা)।

পারিশ্রমিকে শীর্ষ পাঁচ ফুটবলারের শুধু একজন খেলেন ইউরোপীয় ক্লাবে—রিয়াল মাদ্রিদের কিলিয়ান এমবাপ্পে। বছরে এমবাপ্পের আয় ৯ কোটি ডলার (১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৬ লাখ টাকা)। শীর্ষ দশের মধ্যে আছেন ইউরোপীয় ক্লাবে খেলা পাঁচজন—এমবাপ্পে ছাড়া অন্য চারজন ম্যানচেস্টার সিটির দুই তারকা আর্লিং হলান্ড ও কেভিন ডি ব্রুইনা, রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ।

আরও পড়ুন

বছরে আয়ে শীর্ষ দশ ফুটবলারের চারজনই সৌদি প্রো লিগে খেলেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে তিনজন, লা লিগা থেকে দুজন এবং মেজর লিগ সকার (এমএলএস) থেকে একজন খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন।

জাতীয়তা বিবেচনায় সর্বোচ্চ দুজন করে ফুটবলার আছেন ব্রাজিল (নেইমার ও ভিনিসিয়ুস) ও ফ্রান্স (বেনজেমা ও এমবাপ্পে) থেকে। একজন করে ফুটবলার পতুর্গাল (রোনালদো), আর্জেন্টিনা (মেসি), নরওয়ে (হলান্ড), মিসর (সালাহ), সেনেগাল (মানে) ও বেলজিয়ামের (ডি ব্রুইনা)।