টাইব্রেকার শট মিস নিয়ে যা বললেন মেসি

ইকুয়েডরের বিপক্ষে টাইব্রেকারে শট মিস করেন লিওনেল মেসিরয়টার্স

এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ওভাবে প্রাচীর হয়ে না দাঁড়ালে এখন হয়তো আক্ষেপেই পুড়তে হতো লিওনেল মেসিকে। ১–১ গোলে সমতার ম্যাচে টাইব্রেকারে প্রথম শট নিতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। পোস্টের মাঝামাঝি ‘পানেনকা’ শট নিতে গিয়ে বল মেরে বসেন ক্রসবারে। যে শটে মেসি গোল মিস করেছেন, সে ধরনের শট তাঁকে সাধারণত নিতে দেখা যায় না।

ম্যাচ শেষে টাইব্রেকারে মিস করা শট নিয়ে কথা বলেন মেসি। বলেছেন চোট থেকে ফেরা নিয়েও। হিউস্টনে এনআরজি স্টেডিয়ামে এই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আবার চোটে পড়ার ভয়ে ছিলেন মেসি। তবে সেমিফাইনালের আগে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের আশাবাদের খবরই শুনিয়েছেন কিংবদন্তি।

গ্রুপ পর্বে চিলির বিপক্ষে ম্যাচে চোট পাওয়া মেসি পেরুর বিপক্ষে খেলেননি। তবে আজ কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই ছিলেন। ৩৬ মিনিটে লিসান্দ্রো মার্তিনেজের গোলের উৎসও ছিলেন তিনি। যদিও ম্যাচের বাকি সময়ে খুব একটা নিজের মান অনুযায়ী খেলতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। পুরো নব্বই মিনিটে মেসির বলে স্পর্শ ছিল মাত্র ২৭ বার, গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের চেয়ে একবার বেশি।

চোট থেকে ফেরা মেসি কিছুটা নিস্প্রভ ছিলেন
রয়টার্স

মেসি জানিয়েছেন, চোট থেকে ফিরে কিছুটা সতর্ক থাকতে হয়েছে তাঁকে, ‘আমি এখন ঠিক আছি। কোনো অস্বস্তি নেই। আবার চোটে পড়ার বা অস্বস্তিতে ভোগার মানসিক ভয় সব সময়ই ছিল। তবে পেশিতে কোনো সমস্যা নেই। কোচ জিজ্ঞাসা করেছিল খেলতে প্রস্তুত কি না। আমি হ্যাঁ বলেছি।’

ইকুয়েডর ২০০১ সালের পর কোপা আমেরিকায় কোনো লাতিন আমেরিকান দেশকে হারাতে পারেনি। সেই দল বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বেশ পরীক্ষাতেই ফেলেছিল। মেসির মতে এ ক্ষেত্রে মাঠেরও ভূমিকা আছে, ‘ওরা ভালো দল। বৈচিত্র্য আছে। শক্তিশালীও। তবে আমরা যেভাবে খেলতে চেয়েছি, পিচের কারণে সেটা পারা যায়নি। এ ধরনের মাঠে খেলা রক্ষণনির্ভর দলের জন্য সুবিধাজনক।’

আরও পড়ুন

ইকুয়েডর প্রথমার্ধে গোল হজম করলেও শেষ দিকে যোগ করা সময়ে সমতায় ফিরেছে। এরপর টাইব্রেকার শুরু হলে মেসি পানেনকা শট নিয়ে মিস করে বসেন। কেন এমন শট, সেটি জানাতে গিয়ে মেসি বলেন, ‘খুব বিরক্ত লেগেছে নিজের ওপর। ভেবেছিলাম কিকটা ভালোই হবে। আমি (দুই গোলকিপার) দিবু ও রুইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এই কিকটা অনুশীলন করা হয়নি, শুধু কথা বলে নিয়েছিলাম। আমার চেষ্টা ছিল বলটা আস্তে করে মারতে, কিন্তু উঁচুতে উঠে গেল।’

মেসি টাইব্রেকারে শট মিস করলেও এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ইকুয়েডরের টানা দুটি শট রুখে দিয়ে আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত করে দেন। যেমনটা করেছিলেন ২০২১ কোপা আমেরিকা এবং ২০২২ বিশ্বকাপেও। ৩১ বছর বয়সী মার্তিনেজের প্রশংসা করতে গিয়ে মেসি বলেন, ‘আমি জানতাম, এ ধরনের সময়ে দিবু দাঁড়িয়ে যাবে। এ ধরনের মুহূর্তই ওর পছন্দ, যেটা তাঁকে বড় করে তুলেছে। ও গোলবারের নিচে থাকলে অন্য রকম হয়ে ওঠে।’

আরও পড়ুন