আবারও পয়েন্ট হারানোর হতাশা লিভারপুলের

লিভারপুলের জালে বল পাঠিয়ে কোডির উল্লাস। গোলটি বাতিল হয়েছে অফসাইডের কারণেছবি: এএফপি

মার্সিসাইড ডার্বিতে যেমনটা হওয়ার কথা, ম্যাচের আবহটা তেমনই ছিল। লিভারপুল–এভারটন ম্যাচটি শুরু থেকেই ছড়িয়েছে উত্তেজনা। প্রথমার্ধের শুরুর দিকে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কয়েকবার কথা–কাটাকাটিও হয়েছে। শরীরী ভাষায় যেমন উত্তেজনা ছিল, তেমনি রোমাঞ্চ ছিল মাঠের খেলায়ও। আক্রমণ পাল্টা–আক্রমণে ঠাসা ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে।

৬ ম্যাচে এটি লিভারপুলের তৃতীয় ড্র, সঙ্গে আছে একটি হারও, পয়েন্ট ৯। মৌসুমের এ রকম শুরু নিশ্চয়ই চাননি লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।

এভারটন অবশ্য এই ফলে নিজেদের দুর্ভাগাই ভাবতে পারে। ৭০ মিনিটে লিভারপুলের জালে বল পাঠিয়েছিলেন এ মৌসুমেই উলভারহ্যাম্পটন থেকে ধারে এভারটনে খেলতে আসা কনর কোডি। সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়ে এভারটনের মাঠ গুডিসন পার্কের গ্যালারি।

বেশ কয়েকটি ভালো সেভ করে লিভারপুলকে বাঁচিয়েছেন আলিসন
ছবি: এএফপি

কিন্তু এভারটনের সমর্থকদের উল্লাস থেমে যায় একটু পরেই। বল জালে পাঠানোর আগে কোডি অফসাইডে ছিলেন কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। দু–তিনবার পরীক্ষার পর ভিএআর সিদ্ধান্ত দেয় কোডি অফসাইডে ছিলেন।

ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট দুই দলের গোলকিপারই সহজ কিছু সেভ করেন। ৩০ মিনিটের পর অবশ্য দুই দলই গতি আর ছন্দ বাড়াতে থাকে। ম্যাচের প্রথম পরিষ্কার গোলের সুযোগটি পেয়েছে এভারটনই।

৩৩ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে উড়ে আসা একটি বল ঠিকভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি লিভারপুলের ডিফেন্ডার জো গোমেজ। সেই সুযোগ নিয়ে টম ডেভিস ভালো শটই নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর চেষ্টা ফিরে আসে পোস্টে লেগে।

লিভারপুলের বিপক্ষে অসাধারণ গোলকিপিং করেছেন জর্ডান পিকফোর্ড
ছবি: এএফপি

পোস্টে বল লেগেছে লিভারপুলেরও, তা–ও আবার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দুবার। ৪৪ মিনিটে দারউইন নুনিয়েজের শট ডান পোস্টে লেগে জালে ঢুকতে ঢুকতেও বের হয়ে আসে। ফিরে আসা বল এসে পড়ে লুইস দিয়াজের পায়ের কাছে। তাঁর শটও পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সুযোগ পান নুনিয়েজ ও দিয়াজ। কিন্তু শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। এ ছাড়া পোস্ট থেকে ৬ গজ দূরে বল পেয়েও বারের ওপর দিয়ে মেরেছেন সিমিকাস। নুনিয়েজ আরও একবার সহজ সুযোগ পেয়ে বল মেরেছেন এভারটন গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ডকে লক্ষ্য করে।

এরপরই আসে কোডির গোল বাতিলের মুহূর্ত। শেষ ১০ মিনিটে লিভারপুল একবার বেঁচে যায় আলিসন বেকারের দুর্দান্ত দুটি সেভের কারণে। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে এভারটনকে বাঁচিয়েছেন পিকফোর্ড। ম্যাচের বেশির ভাগ সময়েই নিষ্প্রভ থাকা মোহাম্মদ সালাহর খুব কাছ থেকে নেওয়া শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছেন এভারটনের গোলকিপার।