ব্রুনো ফার্নান্দেজের ‘অ্যাসিস্টে’ বাঁচল মূর্ছাগত বিমানযাত্রীর জীবন
অ্যাসিস্ট শব্দের আভিধানিক অর্থ সহায়তা করা। ফুটবল মাঠে এর অর্থটাও একই, গোলে সহায়তা করা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজ অসংখ্যবারই অ্যাসিস্ট করে দলকে বাঁচিয়েছেন। ইউনাইটেড অধিনায়ক জীবনের পথে অন্যতম বড় ‘অ্যাসিস্ট’টা করলেন মাঠের বাইরে। ফার্নান্দেজ যে বিমানে এক সহযাত্রীর জীবন বাঁচাতে সহায়তা করেছেন।
উয়েফা নেশনস লিগে আগামী কয়েক দিনে ২টি ম্যাচ খেলবে পর্তুগাল। পর্তুগাল দলে যোগ দিতে ইজিজেটের ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য থেকে সতীর্থ দিয়োগো দালোতের সঙ্গে পর্তুগালে যাওয়ার সময়ই সহযাত্রীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে যান ফার্নান্দেজ।
ফার্নান্দেজদের এক সহযাত্রী জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর চোখে পড়ে সেটি। এরপর ‘হেল্প, হেল্প’ বলে সেই যাত্রীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
ফার্নান্দেজ কী করছেন, সেটি বিজনেস ক্লাউড নামের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আরেক সহযাত্রী সুজানা লসন, ‘ব্রুনো বিমানের পেছনের দিকে টয়লেটে গিয়েছিলেন। আমরা হঠাৎ চিৎকার শুনলাম, কেউ একজন সাহায্য চাচ্ছিলেন। পেছনে ফিরে দেখলাম ফার্নান্দেজ প্রায় অচেতন এক লোকের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য চাচ্ছেন আর তাঁকে ধরে চেয়ারে বসানোর চেষ্টা করছেন। এরপর কেবিন ক্রুরা দৌড়ে সেখানে যান। লোকটা শঙ্কামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ফার্নান্দো সেখানেই ছিলেন।’
ফার্নান্দেজের আচরণে মুগ্ধ লসন পরে পর্তুগিজ তারকার সঙ্গে সেলফিও তুলেছেন। লসন জানালেন নিজেই সেলফি তুলে দিয়েছেন ফার্নন্দেজ, ‘বিমান থেকে নামার সময় আমি যখন সেলফির অনুরোধ করলাম, তিনি হাসিমুখেই সেই আবদার রাখেন, সেলফিটা তিনিই তুলে দিয়েছেন। আমি তখন অসুস্থ যাত্রীকে সাহায্য করায় তাঁর প্রশংসা করলাম। সত্যি বলতে কী, আমি যদি তাঁকে না চিনতাম, তবে তাঁকে নিতান্ত সাধারণ এক সহযাত্রী হিসেবেই ধরে নিতাম।’