ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলার বিচার কার্যক্রম আবার পিছিয়েছে

প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাএএফপি

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তাঁর চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত আটজন পেশাদার চিকিৎসাকর্মীর মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। গতকাল সেই মামলার বিচারিক কার্যক্রম আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার একটি আদালত।

আরও পড়ুন

গত মে মাসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মামলার বিচারিক কার্যক্রম পিছিয়ে অক্টোবরে শুরু করা হবে। কিন্তু এখন তা আবারও পিছিয়ে আগামী বছরের ১১ মার্চ বিচারকার্য শুরুর নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে বলে রায় দেখে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ম্যারাডোনা
এএফপি

ম্যারাডোনা দীর্ঘদিন কোকেন ও মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন। রক্ত জমাট বাঁধায় মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করানোর পর সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় ছিলেন আর্জেন্টিনাকে ’৮৬ বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি। কিন্তু এর মধ্যেই ২০২০ সালের নভেম্বরে মারা যান তিনি। হাসপাতাল ছাড়ার পর বুয়েনস এইরেসে একটি বাসা ভাড়া করে তাঁকে সেখানে রাখা হয়েছিল। সেখানে এক সকালে বিছানায় তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, এর দুই সপ্তাহ আগে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছিল হার্ট অ্যাটাক।

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে আর্জেন্টিনার আপিল আদালত সিদ্ধান্ত দেন, ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত নিউরোসার্জন লিওপোল্ডো লুকু, মনোবিদ অগাস্তিনা কোসাচোভ, নার্সসহ আরও ছয়জনকে ম্যারাডোনার মৃত্যুর বিষয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। অভিযুক্ত নার্সদের মধ্যে গিজেলা দাহিয়ানা মাদ্রিদ জুরির মাধ্যমে তাঁর বিচারিক কার্যক্রম আলাদাভাবে আয়োজনের আবেদন করেছিলেন। সে অনুযায়ী তাঁর বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে ২ অক্টোবর।

বাসায় ম্যারাডোনাকে ‘বেপরোয়া’ ও ‘অপ্রতুল’ চিকিৎসাসেবা প্রদানের অভিযোগে এই আটজনকে অভিযুক্ত করেছিলেন কৌঁসুলিরা। ২০২১ সালে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির আহ্বানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ২০ জন বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছিল। সেই বিশেষজ্ঞেরা জানান, চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে, এমন জায়গায় থাকলে ম্যারাডোনার ‘বেঁচে থাকার সম্ভাবনা’ আরও বাড়ত। এই মামলার রায়ে দোষী প্রমাণিত হলে ৮ থেকে ২৫ বছর কারাবাসের সাজা হতে পারে।