মেসিদের দায়িত্বে থাকছেন স্কালোনিই

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক স্কালোনিছবি: রয়টার্স

১৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে নিজের নাম সোনার হরফে লিখিয়ে নিয়েছেন লিওনেল স্কালোনি। দেশটির ইতিহাসে তৃতীয় কোচ হিসেবে জিতেছেন বিশ্বকাপ শিরোপা। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে সিজার লুইস মেনোত্তি এবং ১৯৮৬ বিশ্বকাপে কার্লোস বিলার্দোর পর তৃতীয় কোচ হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন স্কালোনি।

আর্জেন্টিনার পোজাতো শহর থেকে উঠে আসা স্কালোনি কোচের দায়িত্ব নেন ২০১৮ সালে। আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে বিশ্বকাপজয়ী কোচের চুক্তি শেষ হবে এ বছরের শেষে। তবে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া বলেছেন, শিগগিরই স্কালোনির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন হতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন

দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতে সমালোচিত হলেও এখন আর্জেন্টিনা দলের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন স্কালোনি। এমনকি দেশ ছেড়ে মায়োর্কাতে নিজের পরিবারের কাছে ফেরার সময় এজেইজা বিমানবন্দরেও স্কালোনি পেয়েছেন উষ্ণ অভ্যর্থনা। কথা হচ্ছে আর্জেন্টিনা দলের কোচ হিসেবে তাঁর চুক্তি বাড়ানো নিয়েও। স্কালোনির কোচ হিসেবে থাকা নিয়ে অবশ্য কোনো দ্বিধা নেই তাপিয়ার।

মেসিকে নিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন স্কালোনি
ছবি: রয়টার্স

তিনি বলেছেন, ‘স্কালোনি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ। আমাদের দুজনের জন্য মুখের কথা মূল্যবান। সে কথাতেই আমরা একমত হয়েছি। সে এখন তার এক সন্তানের পাসপোর্ট–সংক্রান্ত কাজে স্পেন গেছে। যখন সে ফিরবে, আমরা একসঙ্গে বসে কথা বলব, যেমনটা আমরা গতকাল পর্যন্তও বলেছিলাম।’

আরও পড়ুন

স্কালোনিকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যে সহজ ব্যাপার ছিল না, তা মনে করিয়ে দিয়ে তাপিয়া বলেন, ‘২০১৯ কোপা আমেরিকার সময় মেনোত্তি আমাকে বলেছিল, বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত তাকে রেখে দিতে। আমরা সেটাই করেছি। তবে আমরা যখন তাকে নিয়োগ দিই, ৯৯ শতাংশ মানুষ ভেবেছিল, এটা ভুল সিদ্ধান্ত কিংবা আমরা পাগলামি করছি। আর এ নিয়োগই তিনটি ট্রফিসহ মানুষের মধ্যে আনন্দ ফিরিয়ে এনেছে।’

আরও পড়ুন

এ সময় কোচিং স্টাফের প্রশংসার পাশাপাশি অধিনায়ক লিওনেল মেসির কথাও বিশেষভাবে স্মরণ করেন তাপিয়া, ‘আর্জেন্টিনা দলে বিশ্বের সেরা কোচিং স্টাফ আছে। আমাদের দলে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় আছে, যার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। কখনো কখনো অন্যদের ক্ষুদ্রতা আমাদের চিনতে দেয় না, আমাদের কী আছে এবং কেন আছে। আমাদের প্রাপ্তির বড় একটি অংশ এসেছে অধিনায়কের কারণেই।’