মেসির ফ্রি–কিক অন্যদের পেনাল্টি কিকের সমান, মনে করেন ডালাস কোচ
লিওনেল মেসির বাঁ পা, তাঁর ফ্রি-কিক—এগুলো নিয়ে ফুটবল বিশ্বে আলোচনার কমতি নেই। কতজন এসব নিয়ে কত কী যে বলেছেন, তার ইয়ত্তা নেই। মেসি যে দলের হয়ে ফ্রি-কিক নেন, তাদের জন্য এটা আনন্দের এক উপলক্ষ। অন্যদিকে যে দলের বিপক্ষে নেন, সেই দলের জন্য এটা হয়ে দাঁড়ায় উৎকণ্ঠার মুহূর্ত।
লিগস কাপে আজ ইন্টার মায়ামি-এফসি ডালাস ম্যাচেও এমন একটি মুহূর্ত এসেছিল। লিগস কাপের শেষ ষোলোর ম্যাচটি তখন ৮৫ মিনিটে। মেসির দল মায়ামি ৪-৩ গোলে পিছিয়ে। এমন সময়ে মায়ামি ফ্রি-কিক পায় ডালাসের পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে, বাঁ দিকে।
ফ্রি-কিকটি পাওয়ার পরই আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন ডাগআউটে থাকা মায়ামির কোচ জেরার্ড মার্তিনো আর তাঁর খেলোয়াড়েরা। পাশেই ডালাসের ডাগআউটে নেমে আসে নীরবতা। মায়ামির ডাগআউটে সবার মনোভাবটা ছিল এ রকম—আমাদের আর ঠেকায় কে, সমতায় ফিরছি!
অন্যদিকে ডালাসের কোচ আর খেলোয়াড়েরা হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন—এবার আর রক্ষা নেই, গোল আমরা খেতে চলেছি! দুই দলের দুই রকমের এই মনোভাব যে মেসির ফ্রি-কিক নেওয়ার আগেই ছিল, সেটা স্পষ্ট হয়েছে ম্যাচ শেষে ডালাস ও মায়ামির দুই কোচের কথায়ও।
ডালাসের টয়োটা স্টেডিয়ামে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচ শেষে ডালাসের কোচ নিকো এস্তেভেজ বলেছেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম আমরা জিততে যাচ্ছি। সত্যি, আমরা তাদের খুব কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছিলাম।’
ম্যাচের শুরুতে মেসি গোল করলেও একপর্যায়ে ব্যবধান ৩-১ বানিয়ে ফেলে ডালাস। সেখান থেকে মায়ামির বদলি খেলোয়াড় বেঞ্জামিন ক্রিমাশ্চি ব্যবধান কমিয়ে করেন ৩-২। কিন্তু রবার্ট টেলরের আত্মঘাতী গোলে ডালাস আবারও এগিয়ে যায় দুই গোলের ব্যবধানে, ৪-২ এ। এরপর মেসির ফ্রি-কিক থেকে ডালাসের মার্কো ফারফানের গোলে ব্যবধান হয় ৪-৩। এরপরই মেসির ওই ফ্রি-কিক।
অমন জায়গায় মায়মি ফ্রি-কিক পাওয়ার পরই যা বোঝার, তা বুঝে গিয়েছিলেন এস্তেভেজ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার দরকার নেই। সবাই দেখেছে, কী হয়েছে। ওই জায়গায় তাঁর (মেসি) একটা ফ্রি–কিক অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য পেনাল্টির মতো।’
মেসির ওই ফ্রি-কিক নিয়ে মায়ামির আর্জেন্টাইন কোচ মার্তিনো বলেছেন, ‘আপনার এটা মনে হবেই যে (ওই জায়গা থেকে ফ্রি-কিকে) সে গোল করবে।’