লুসাইলে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর আনন্দ এমবাপ্পের

ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ট্রফি হাতে এমবাপ্পেইনস্টাগ্রাম

গতকাল রাতে লুসাইলের টানেল দিয়ে হেঁটে আসার সময় নিশ্চয় কিলিয়ান এমবাপ্পের মনে পড়ছিল দুই বছর পুরোনো সেই সব স্মৃতি। ঠিক যেভাবে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড়িয়ে গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের ‘নিঃসঙ্গতার এক শ বছর’–এর বিখ্যাত চরিত্র কর্নেল বুয়েন্দিয়ার মনে পড়েছিল বাবার হাত ধরে বরফ দেখতে যাওয়ার কথা। বাস্তব ও ফিকশনের এই দুটি স্মৃতি এমন, যা কখনোই ভোলা যায় না।

দুই বছর আগের ১৮ ডিসেম্বরে এমবাপ্পে যেভাবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বকাপ হাতছাড়া করেছিলেন, সেই স্মৃতি না চাইলেও সারা জীবন বহন করে যেতে হবে তাঁকে। বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও শেষ পর্যন্ত জিততে না পারার বেদনা কি কখনো ভোলা যায়!

সেটা যে সম্ভব নয়, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ট্রফি জিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এমবাপ্পের পোস্টে তা স্পষ্ট। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের একাধিক শিরোপা জেতার ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে এমবাপ্পে লিখছেন, ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ মাদ্রিদে ফিরছে। এই মৌসুমের দ্বিতীয় শিরোপা। এবার আমি লুসাইলে জিততে পারলাম।’

আরও পড়ুন

‘এবার আমি লুসাইলে জিতলাম’ কথার মধ্য দিয়েই মূলত বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে না পারার যে কষ্ট, সেটাকেই যেন ফিরিয়ে আনলেন এমবাপ্পে। ট্রফি বিবেচনায় বিশ্বকাপের সঙ্গে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের কোনো তুলনাই হয় না। ফলে এমবাপ্পের জন্য বিষয়টা অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতোই। এরপরও অবশ্য লুসাইলে একটা ট্রফি জেতার সান্ত্বনা তো অন্তত এমবাপ্পে পাচ্ছেন।

বিশ্বকাপের সেই হারা ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমবাপ্পে। আর গতকাল মেক্সিকান ক্লাব পাচুকার বিপক্ষে ৩–০ গোলের জয়ে প্রথম গোলটি করেছেন এই ফরাসি তারকা। চোট শঙ্কায় এই ম্যাচে অবশ্য তাঁর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল।

কিন্তু সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ঠিকই ম্যাচের শুরু থেকে মাঠে ছিলেন এই ফরোয়ার্ড এবং দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ৬১ মিনিটে মাঠ ছাড়েন। এমবাপ্পে মাঠ ছাড়ার আগে ২–০ গোলে এগিয়ে থাকা রিয়ালের জয় তখন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।

আরও পড়ুন

এদিকে ম্যাচের পর রিয়ালের হয়ে শিরোপা জেতার অনুভূতি এমবাপ্পে ব্যক্ত করেছেন এভাবে—‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ট্রফি জেতা। গোলগুলো ট্রফি জিততে সাহায্য করে। আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রফি জিতেছি। সম্ভাব্য ৭টি ট্রফির প্রথম দুটি জেতা হলো।’