আনচেলত্তি না এলে ‘প্ল্যান বি’তে যাঁকে কোচ বানাতে চায় ব্রাজিল

রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিএএফপি

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-১ গোলে হারের পর থেকেই চলছে দরিভাল জুনিয়রের বিদায়ের ক্ষণগণনা। যেকোনো মুহূর্তে হয়তো তাঁর বিদায়ের ঘোষণাও হয়তো চলে আসবে। এমনকি দরিভালের বিদায়ের পর কার্লো আনচেলত্তির ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নেওয়াও নাকি অনেকটা নিশ্চিত। এখন অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিকতাটুকু সম্পন্ন হওয়ার।

তবে এরপরও ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’ থেকে যায়। এর আগেও একবার আনচেলত্তিকে রিয়ালের ডাগআউটে দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। কিন্তু সব যখন ঠিকঠাক মনে হচ্ছিল, তখন উল্টে যায় পাশার দান।

নাটকীয়ভাবে আনচেলত্তি চুক্তি নবায়ন করেন রিয়ালের সঙ্গে আর আকস্মিকভাবে ব্রাজিলের কোচের পদে আসেন দরিভাল। এবার তাই আনচেলত্তিকে কোচ হিসেবে বিবেচনায় রেখে ‘প্ল্যান বি’ও সাজিয়ে রেখেছে ব্রাজিল। যেখানে কোচ হিসেবে দ্বিতীয় যে ব্যক্তি বিবেচনায় আছেন, তিনি হোর্হে জেসুস। ব্রাজিলের ফুটবল সংস্কৃতি সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণাও আছে জেসুসের।

আরও পড়ুন

আনচেলত্তির রিয়ালের ডাগআউটে আসার পথে বড় বাধা হতে পারে রিয়ালের সঙ্গে এই ইতালিয়ান কোচের চুক্তি। রিয়ালের সঙ্গে আনচেলত্তির চুক্তি ২০২৬ সাল পর্যন্ত। আর এই চুক্তির কারণে তাঁর ব্রাজিলে আসাটা জটিলও হয়ে উঠতে পারে।

পর্তুগিজ কোচ হোর্হে জেসুস
এএফপি

অন্যদিকে আল হিলালের সঙ্গে পর্তুিগজ হোর্হে জেসুসের চুক্তির মেয়াদ এ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত।। এরপর ব্রাজিলের দলের দায়িত্ব নিতে তাঁর বাধা নেই। এমনকি জেসুসের সুযোগ আছে ক্লাব বিশ্বকাপের আগেই চুক্তি শেষ করে দিয়ে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়ার।

আরও পড়ুন

কিন্তু জেসুসের আগমন তৈরি করতে পারে ভিন্ন জটিলতা। আল হিলালে থাকার সময় নেইমারের সঙ্গে জেসুসের সম্পর্ক ভালো ছিল না। গত ফেব্রুয়ারিতেই কোচের ওপর মনঃক্ষুণ্ন হয়ে নেইমার বলেছিলেন, ‘হোর্হে জেসুসের ওপর আমি হতাশ ছিলাম, যখন তিনি বলেছিলেন দলের বাকিদের মতো আমি একই অবস্থায় নেই।’

নেইমারের সঙ্গে বিরোধ জেসুসের ব্রাজিলে আসার পথে বাধা করতে পারে বলে ধারণা অনেকের। তবে বৃহত্তর স্বার্থে এখন সবাইকে হয়তো ঐক্যবদ্ধ রাখতে চাইবে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)।

দরিভাল জুনিয়র
রয়টার্স

জেসুসকে বিবেচনায় রাখলেও সিবিএফের চোখ মূলত আনচেলত্তির দিকেই। সিবিএফের প্রধান এনদালদো রদ্রিগেজও আনচেলত্তির বিশেষ ভক্ত। আর এক বছরের মধ্যে দলকে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করতে হলে আনচেলত্তির মতোই অভিজ্ঞ কাউকেই প্রয়োজন সেলেসাওদের। সবদিক মাথায় রেখে তাই এখন থেকেই আলোচনা শুরু করেছে উভয় পক্ষ।

তবে রিয়ালের সঙ্গে আনচেলত্তির চুক্তি শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের জন্য বাধা না–ও হয়ে উঠতে পারে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলে অনেকের ধারণা ক্লাব বিশ্বকাপের পর আনচেলত্তি রিয়াল ছাড়বেন। সেটা এমনকি ব্রাজিলের কাছ থেকেও প্রস্তাব না পেলেও। ফলে সব ঠিক থাকলে ক্লাব বিশ্বকাপ শেষেই হয়তো আনচেলত্তির সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে ব্রাজিল।