ভুটান ২–৪ বাংলাদেশ
গত বুধবার মেয়েদের প্রথম ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে গোল করেও ভুটান হেরেছে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে। আজ দ্বিতীয় ও শেষ প্রীতি ম্যাচে আগে শুধু গোলই করেনি ভুটান, প্রথমার্ধের অর্ধেক সময় পেরোনোর আগেই এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। কিন্তু এ ম্যাচেও ভুটানকে হার নিয়েই থিম্পুর চালংলিমিথান স্টেডিয়াম ছাড়তে হয়েছে। ব্যবধানটা অবশ্য কমাতে পেরেছে তারা, বাংলাদেশের কাছে এবার তাদের হারের ব্যবধান ৪-২।
বাংলাদেশ দল আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকায় প্রথমার্ধে অরক্ষিত হয়ে পড়েছিল রক্ষণ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভুটান নারী ফুটবল দলের ‘নাম্বার নাইন’ জোড়া গোল করে সমর্থকদের উজ্জ্বীবিত করে তোলেন। ১৫ মিনিটে প্রথম গোলটা অধিনায়কের ক্রস থেকে আলতো টোকায় করেন এই স্ট্রাইকার, ২৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটা বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে।
দুই গোল খেয়ে হুশ ফেরে সফরকারী দলের। প্রথমার্ধেই তারা ম্যাচে ফেরে। পিছিয়ে থাকার ব্যবধান ২-১ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা মোসাম্মৎ সাগরিকার গোলে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ও চতুর্থ গোলটি করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন বদলি নামা ঋতুপর্ণা।
ভুটানের বিপক্ষে এদিন বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার একাদশে রাখেননি মারিয়া মান্দাকেও। অভিজ্ঞ গোলরক্ষক রুপনা চাকমা ও অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের সেরা গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগমকেও একাদশের বাইরে রেখেছেন। ব্রিটিশ কোচ পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাতে গিয়ে পোস্টের নিচে সুযোগ দেন মিলি আক্তারকে। কিন্তু মিলি পোস্টের নিচে নড়বড়েই ছিলেন। ৬০ মিনিটে মিলিকে তুলে মাঠে নামানো হয় রুপনা চাকমাকে। ঋতুপর্ণা ও মারিয়া মান্দাও মাঠে নামেন। তাঁরা আসার পরই বাংলাদেশের খেলায় ধার বেড়েছে।
অক্টোবরে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি হিসেবে এই ম্যাচ দুটি খেলেছে বাংলাদেশ। যদিও সাবিনা খাতুনেরা চেয়েছিলেন আরও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। কিন্তু বাফুফে কোনোমতে ভুটানের সঙ্গে এই ম্যাচ দুটির ব্যবস্থা করতে পেরেছে। ভুটান বরাবরই বাংলাদেশের কাছে হেরেছে। ২০২২ সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে হেরেছে ৮-০ গোলে। এই দুটি প্রীতি ম্যাচেও অনুমিতভাবেই বাংলাদেশ জিতেছে।
তবে দুটি ম্যাচেই আগে গোল করে বাংলাদেশের রক্ষণের ফাঁকফোকর দেখিয়ে দিয়েছে ভুটানের মেয়েরা। সাফ শিরোপা ধরে রাখার কঠিন লড়াইয়ের আগে যা পিটার বাটলারের বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট চিন্তার কারণ।