‘বেকহামস’কে ছাপিয়ে যাচ্ছেন হলান্ড ও তাঁর প্রেমিকা

আর্লিং হলান্ড এবং তাঁর প্রেমিকা ইসাবেলইসাবেলের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

‘বেকহামস’—শব্দটি এখন নস্টালজিক অনুরণন তোলে ইংলিশ ফুটবলপ্রেমীদের মনে। নব্বইয়ের দশক ও পরবর্তী সময়ে একটা সময় ছিল, যখন ইংল্যান্ডে তারকা জুটিদের মধ্যে ‘বেকহামস’রা থাকতেন সর্বাগ্রে।

ডেভিড বেকহাম ও ভিক্টোরিয়া বেকহাম। সোনালি চুলের প্রথমজন ছিলেন ইংলিশ ফুটবলের রাজপুত্র। পরেরজনও কম যান না। নব্বইয়ের দশকের পপ ব্যান্ড ‘স্পাইস গার্লস’–এর অন্যতম গায়িকা ও ফ্যাশন ডিজাইনারের পাশাপাশি টিভি ব্যক্তিত্বও। দুই বছর চুটিয়ে প্রেমের পর ১৯৯৯ সালে দুজনের বিয়েটা ছিল তুমুল আলোচিত। তারপর ২৬ বছর কেটে গেলেও অনেকের চোখে ‘বেকহামস’রা এখনো সেই ‘গোল্ডেন কাপল’ই আছেন।

আরও পড়ুন

কিন্তু ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’–এর দাবি, রাজপাটটি বেকহামসের দখলে সম্ভবত আর বেশি দিন থাকছে না। এসে গেছে নতুন ‘গোল্ডেন কাপল’, তাই ছেড়ে দিতে হবে স্থান। আর্লিং হলান্ড ও তাঁর প্রেমিকা ইসাবেল ইয়োহানসেন। তাঁরা দুজন ‘বেকহামসদের চেয়ে বড় জুটি হতে যাচ্ছেন’ বলে দাবি করেছে সান।

কারণ? প্রথমত, ইংল্যান্ডে শিকড় গেড়েছেন হলান্ড। ৮৫ কোটি টাকায় চেশায়ারে কিনেছেন বাড়ি। তখনই বোঝা গিয়েছিল, ইংল্যান্ডে থিতু হচ্ছেন নরওয়ে স্ট্রাইকার। আর গত সপ্তাহে সেটাই প্রমাণ করেছে তাঁর ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। ২৪ বছর বয়সী হলান্ডের সঙ্গে ২৬ কোটি পাউন্ডের চুক্তি করেছে ১০ বছরের জন্য।

ভিক্টোরিয়া বেকহাম ও ডেভিড বেকহাম
ইনস্টাগ্রাম

হলান্ডের সাপ্তাহিক বেতন হবে ৫ লাখ পাউন্ড। তাতে বিশ্বের অন্যতম ধনী ফুটবলারই হয়ে যাচ্ছেন সিটি তারকা। অর্থাৎ তাঁর প্রেমিকা ইসাবেলের জীবনও কিছুটা হলেও পাল্টে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে তাঁরা পিতা-মাতাও হয়েছেন।

এখন ব্যাপারটা একটু কল্পনা করে দেখা যাক। বেকহাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকতে, এমনকি রিয়াল মাদ্রিদ ক্যারিয়ারেও ইংল্যান্ডে যেমন বিলাসী জীবন কাটাতেন পরিবার নিয়ে, হলান্ড ও ইসাবেল যেন সেই পথেই হাঁটছেন। বেকহামের মতোই তারকা ইমেজ এবং ম্যানচেস্টারের নীল অংশের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়ও হলান্ড।

আরও পড়ুন

তবে সান সবার আগে টেনেছে আর্থিক ব্যাপারটি। সূত্র মারফত সংবাদমাধ্যমটির দাবি, আর্থিকভাবে হলান্ড-ইসাবেল বেকহাম দম্পতিকে ছাপিয়ে যেতে পারেন। ডেভিড বেকহাম ও ভিক্টোরিয়ার ৪৫ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড সমমূল্যের সম্পদ রয়েছে। হলান্ড-ইসাবেল জুটির ঘনিষ্ঠ সূত্র সানকে বলেছেন, ‘তারা বেকহামসদের চেয়ে বড় জুটি হতে পারে। হলান্ডের নতুন চুক্তিটি ঐতিহাসিক, যেটার মতো কোনো কিছু এখন পর্যন্ত শোনো যায়নি। এতে তারা দুজনই সবার নজরে থাকবে। যদিও সে (ইসাবেল) নিজের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করে চলে।’

হলান্ডের সঙ্গে এখন ম্যানচেস্টারেই বসবাস করেন ইসাবেল
ইসাবেলের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

ইসাবেলকে নিয়ে সেই সূত্র আরও বলেছেন, ‘সে জানে এই চুক্তি সবার নজর কাড়বে। ফুটবলের ইতিহাসেই এটা অন্যতম ঐতিহাসিক চুক্তি, যেখান থেকে প্রচুর অর্থও আসবে।’

হলান্ড ও ইসাবেল শৈশবের বন্ধু থেকে এখন প্রেমিক-প্রেমিকা। ইসাবেল নিজেও ফুটবলার। পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজ করেন একটি ফ্যাশন স্টোরে। হলান্ডের সঙ্গে জন্মভূমি নরওয়ের ক্লাব ব্রাইনে পরিচয় ইসাবেলের। সেখানে বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন দুজনই। একসময় পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নও দেখেছেন ইসাবেল।

২০১৯-২০ পর্যন্ত হলান্ড অস্ট্রিয়ান ক্লাব সালজবুর্গে খেলার সময় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজন। হলান্ড বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে থাকতে জার্মানিতে নারী ফুটবলে খেলেছেন ইসাবেল। নরওয়ে তারকা সিটিতে যোগ দেওয়ার পর ইসাবেলও ম্যানচেস্টারে চলে আসেন। তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেন এই জুটি।

তবে সেটি কত দিন পারেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। ডেভিড ও ভিক্টোরিয়াও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার চেষ্টা করেছেন। পেরেছেন কি না, তা জিজ্ঞেস করতে পারেন ইংল্যান্ডের পাপারাজ্জিদের।