আনিসুর জানেন না, কেন তিনি দলে নেই
ঠিক এক বছর আগে বেঙ্গালুরুর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা গোলকিপার হয়েছিলেন আনিসুর রহমান। ১৪ বছর পর বাংলাদেশ উঠেছিল সাফের সেমিফাইনালে। শেষ চারে কুয়েতের বিপক্ষে অসাধারণ খেলেছিলেন আনিসুর। যদিও শেষ পর্যন্ত কুয়েতের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে ১–০ গোলে হেরে শেষ হয়েছিল বাংলাদেশের সাফ–যাত্রা। এক বছরের মাথায় সাফের সেরা গোলকিপার বাদ পড়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরার প্রাথমিক দল থেকে।
সাফের পর অবশ্য আনিসুরের সময়টা ভালো যায়নি। সেপ্টেম্বরে বসুন্ধরা কিংসের এই গোলকিপার খেলতে গিয়েছিলেন মালদ্বীপে, এএফসি কাপের ম্যাচে। সেখান থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে মদ–কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন আনিসুর। তৌহিদুল আলম, তপু বর্মণ, শেখ মোরছালিন ও রিমন হোসেনদের সঙ্গে সেই ঘটনায় কিংস নিষিদ্ধ করে আনিসুরকেও। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল এ বছরের মার্চ পর্যন্ত। যদিও এর আগেই কিংস নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে তাঁকে দলে ফেরায়।
মালদ্বীপের সেই শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার কারণে অক্টোবরে বিশ্বকাপের প্রাক্–বাছাইপর্বে মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে ছিলেন না। গত মার্চে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচে আবারও ফেরেন। কিন্তু খেলা হয়নি। ঢাকার হোম ম্যাচে একাদশে থাকা গোলকিপার মিতুল মারমা আহত হয়ে মাঠ ছাড়লেও কোচ কাবরেরা সেই ম্যাচে মাঠে নামাননি আনিসুরকে। সুযোগ পেয়েছিলেন মেহেদী হাসান।
এবার স্কোয়াড থেকেই বাদ পড়লেন আনিসুর।
এ ব্যাপারে রীতিমতো বিস্মিত কিংসের এই গোলকিপার। প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি না কোচ কেন আমাকে দলে নিলেন না। প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় লেগে আমার ক্লিনশিটই সবচেয়ে বেশি। কোচ বা ম্যানেজমেন্টের কেউ এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।’
সাফে সেরা গোলকিপার হয়েছিলেন, এক বছরের মাথায় দল থেকেই বাদ। ব্যাপারটাকে অবশ্য খেলোয়াড়ি দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখছেন আনিসুর, ‘এটা খেলোয়াড়দের জীবনের অংশ। সাফের পর ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ায় একটা ছন্দপতন তো হয়েছেই। তবে আমি জানি, কীভাবে দলে ফিরতে হয়। আমি এখন ভালো খেলতে চাই।’