আর্সেনালের জন্য ইতালি মানেই আক্ষেপ নিয়ে ফেরা। জয় দূরে থাক, গোলই আসে না। ২০০৮ সালের পর থেকে এভাবেই ফিরতে হয়েছে চারবার।
আজ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে লিগে আরও একবার একই তেতো স্বাদ। ইন্টার মিলানের মাঠে খেলতে নেমে আর্সেনাল ম্যাচ হেরেছে ১-০ গোলে। এ নিয়ে ইতালিতে টানা পাঁচ ম্যাচে গোলহীন ইংলিশ ক্লাবটি।
আর্সেনালের হারের রাতে পর্তুগাল থেকে কোনো মতে জয় নিয়ে ফিরেছে বায়ার্ন মিউনিখ। অ্যাস্টন ভিলা ও বার্সেলোনার কাছে টানা দুই ম্যাচে হেরে যাওয়া জার্মান ক্লাবটি বেনফিকাকে হারিয়েছে ১-০ গোলে।
এবারের আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনাল-ইন্টার সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০০২-০৩ মৌসুমে। তখন গানাররা তখন দেশে ফিরেছিল ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে। আজ জয় না হোক, অন্তত ড্র আশা ছিল মিকেল আরতেতার দলের। ম্যাচের ফলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে যে গোল, সেটি এসেছে পেনাল্টি থেকে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর্সেনাল বক্সে মেহদি তারেমির শট মিকেল মেরিনোর হাতে লাগলে তাৎক্ষণিকভাবে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে বল জালে পাঠিয়ে ইন্টারকে গোল এনে দেন হাকান কালহানগলু।
পেনাল্টির সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি আর্সেনাল। এর আগে মেরিনো হেড নেওয়ার সময় ইন্টার গোলকিপার ইয়ান সোমের তাঁকে ফাউল করলেও রেফারি তখন ব্যবস্থা নেননি।
ম্যাচ শেষে রেফারির এই দ্বিচারিতা নিয়ে পরোক্ষে প্রশ্নও তুলেছেন আর্সেনাল কোচ আরতেতা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টিএনটি স্পোর্টসকে তিনি বলেন, একটা পেনাল্টি হলে অপরটাও পেনাল্টি। কারণ ওদের গোলকিপার হেডের সময় মাথায় আঘাত করেছে।
পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পক্ষে না গেলেও ম্যাচে আক্রমণভাগে ভালো করেনি আর্সেনাল। পুরো নব্বই মিনিটে মোট ২০টি শট নিয়েও গোল করতে পারেননি বুকায়ো সাকা, কাই হাভার্টজরা। ২০০৬ সালের নভেম্বরের মস্কো ম্যাচের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগে এত বেশি শট নিয়ে গোলহীন থাকল আর্সেনাল।
এ দিকে বেনফিকার মাঠে বায়ার্ন মিউনিখও নিয়েছে একের পর এক শট। সব মিলিয়ে ২৪ শট, যার মধ্যে ১০টিই ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু জালে গেছে শুধু ৬৪তম মিনিটে জামাল মুসিয়ালার শটটি।
বায়ার্নের অবশ্য এতেও সন্তুষ্টি আছে। দিনামো জাগরেবকে ৯-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও অ্যাস্টন ভিলা ও বার্সেলোনার কাছে টানা দুই ম্যাচে হারতে হয়েছে। বেনফিকার বিপক্ষে ব্যবধান কম হলেও জয়ে তো ফেরা গেছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ চতুর্থ ম্যাচ ডে-র দ্বিতীয় রাতের খেলার ফল
ইন্টার মিলান ১-০ আর্সেনাল
বেনফিকা ০-১ বায়ার্ন মিউনিখ
পিএসজি ১-২ আতলেতিকো মাদ্রিদ
রেডস্টার বেলগ্রেড ২-৫ বার্সেলোনা
স্টুটগার্ট ০-২ আতালান্তা
ফেইনুর্দ ১-৩ সালজবুর্গ
প্রাহা ১-২ ব্রেস্ত
শাখতার ২-১ ইয়ং বয়েজ
ক্লাব ব্রুজ ১-০ অ্যাস্টন ভিলা