আর্লিং হলান্ড গোল পাচ্ছিলেন না। কত ম্যাচ?
এবারের মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ গোল করার পরে দুই ম্যাচে গোল পাননি নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে তাঁর নিষ্প্রভ উপস্থিতির পর কেউ কেউ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে রিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের আগেই হলান্ড গোলে ফিরেছেন। এভারটনের বিপক্ষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে হেড করে দারুণ এক গোল করেছেন। তবে সিটির ‘ট্রেবল’ জয়ের পথে এক ধাপ এগিয়ে থাকার ম্যাচে উজ্জ্বল আলো ছড়িয়েছেন ইলকায় গুন্দোয়ান। হলান্ডের গোলের সঙ্গে তাঁর দারুণ দুই গোলে এভারটনকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই জয়ে আর্সেনালের চেয়ে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান সংহত করল পেপ গার্দিওলার দল। এবারের প্রিমিয়ার লিগে টানা ১১ ম্যাচ জিতল ম্যানচেস্টার সিটি।
এটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির ৫০০তম জয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (৭২৩), আর্সেনাল (৬৪৪), চেলসি (৬২৯), লিভারপুল (৬২৭) ও টটেনহামের (৫১৯) পর ৬ষ্ঠ দল হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে অর্ধসহস্র জয়ের এই মাইলফলক স্পর্শ করল সিটি।
প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে এভারটনের গোলমুখ খুলেছিল সিটি। গুন্দোয়ান করেন দারুণ এক গোল। ২ মিনিট পরই হলান্ডের গোলে ২-০’তে এগিয়ে যায় সিটি। প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে থাকা সিটিকে দ্বিতীয়ার্ধে ৩-০’তে এগিয়ে দেন সেই গুন্দোয়ানই। আরও একটি দারুণ গোল করে।
গুন্দোয়ানের প্রথম গোলটি ছিল দুর্দান্ত। রিয়াদ মাহরেজের ক্রস এভারটনের বক্সে জটলার মধ্যে পড়লে জার্মান তারকা সেটি ডান ঊরুতে নিয়ে, একটু ঘুরে সেই ডান পা দিয়েই এভারটনের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে বোকা বানান। গোলটি করার সময় গোলপোস্ট ছিল গুন্দোয়ানের পেছনে। দুই মিনিট পর গুন্দোয়ানের অ্যাসিস্টেই হলান্ড নিজের ৫২তম গোলটি পেয়ে যান। বাম প্রান্ত থেকে ফিল ফোডেন বল নিয়ে এগিয়ে এভারটনের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় প্যাটারসনের কাছে বাধাপ্রাপ্ত হন। কিন্তু বলটি গুন্দোয়ান পেয়ে বক্সের মধ্যে দারুণ একটা ক্রস ফেলেন। হলান্ড ওত পেতেই ছিলেন। তিনি শূন্যে লাফিয়ে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন।
৫১ মিনিটে বাঁকানো এক ফ্রিকিকে সিটিকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন গুন্দোয়ান। ফ্রি কিকটি গুন্দোয়ান এমনভাবে নেন, যেন ফ্রিকিকে গোল করা কত সহজ। প্রতিদিনই এভাবে গোল করেন।
খেলাটা আসলে শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রথমার্ধের শেষেই। বাকিটা সময় এভারটন লড়াই করেছে ঠিকই, কিন্তু কাইল ওয়াকার, রুবেন দিয়াস, এইমেরিক লাপোর্তে, ম্যানুয়াল আকানজিদের নিয়ে গড়া সিটির রক্ষণকে অসুবিধায় ফেলতে পারেননি। যদিও এভারটনের আক্রমণের কমতি ছিল না। পুরো ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির ৬টি কর্নারের বিপরীতে এভারটনের ১০ কর্নার সেটিরই নমুনা।
লিগে এখনো সিটির ৩ ম্যাচ বাকি আছে। সমান ম্যাচ বাকি ৮১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালেরও। আজ রাতে ব্রাইটনের বিপক্ষে ম্যাচ আছে তাদের।