আর্জেন্টিনাসহ কোন কোন দলের বিশ্বকাপ নিশ্চিত, আর কারা পথে আছে

তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে কানাডা। এবার স্বাগতিক দেশ হওয়ায় সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের পর এটি হতে যাচ্ছে তাদের টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। আলফন্সো ডেভিস, স্টিফেন ইউস্তাকিও এবং জোনাথন ডেভিডের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে কানাডা এবার ঘরের মাঠে গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে খেলবে।

১৯৭০ ও ১৯৮৬ সালের পর ২০২৬ সালে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করছে মেক্সিকো। মেক্সিকো বিশ্বকাপে নিয়মিত। এটি তাদের ১৮তম বিশ্বকাপ। তবে দেশটি কখনো কোয়ার্টার ফাইনালের ওপরে উঠতে পারেনি, এবার সেটাই করতে চাইবে।

মেক্সিকো ও কানাডার মতোই স্বাগতিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও ২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেয়েছে। এটি হবে তাদের ১২তম বিশ্বকাপ। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক, ওয়েস্টন ম্যাকেনি এবং টেইলর অ্যাডামসের মতো তারকাদের নিয়ে তারা এবার আরও ভালো পারফর্ম করতে আত্মবিশ্বাসী দলটি।

গত ২০ মার্চ প্রথম দল হিসেবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে জাপান। এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে বাহরাইনকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি। তিন স্বাগতিকের বাইরে জাপানই প্রথম দল, যারা বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়। টানা সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে জাপান।

ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নিউজিল্যান্ড। আঞ্চলিক ফাইনালে নিউ ক্যালিডোনিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। এটি হবে তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপ, আগের দুটি ছিল ১৯৮২ ও ২০১০ সালে।

গতকাল টানা চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ইরান। ৩২ বছর বয়সী মেহেদি তারেমি দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং তিনি এবারও ইরানের আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন।

লিওনেল মেসির দল সুখবর পেয়েছে ব্রাজিল ম্যাচে মাঠে নামার আগে। কাল বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বাছাইপর্বের অন্য ম্যাচে উরুগুয়েকে বলিভিয়া হারাতে না পারায় ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার আগেই বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায় লিওনেল স্কালোনির দলের।

ইউরোপ অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে খেলবে ১৬টি দল। আফ্রিকা থেকে ৯টি, এবং এশিয়া থেকে ৮টি দল অংশ নেবে। দক্ষিণ আমেরিকা এবং উত্তর ও মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে অন্তত ৬টি করে দল অংশগ্রহণ করবে, আর ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে প্রথমবারের মতো সরাসরি খেলবে একটি দল। বাকি দুটি দল আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছে ৭টি দেশের।

কোন অঞ্চল থেকে আর কারা বিশ্বকাপে যেতে পারে

এখনো বাকি ছয়টি দল। উজবেকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া সুবিধাজনক স্থানে আছে। বাছাইপর্ব থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়ার সুযোগ আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্ডান, ইরাক, ওমান, সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়ারও।

৯ গ্রুপের শীর্ষ ৯টি দল বিশ্বকাপে সুযোগ পাবে। ১০ ম্যাচের গ্রুপ পর্বের ৬টি করে ম্যাচ শেষে গ্রুপের শীর্ষে আছে মিসর, গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেপ ভার্দে, মরক্কো, আইভরিকোস্ট, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া ও ঘানা।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি জায়গা পাওয়ায় এখানের হিসাবটা ভিন্ন। কোস্টারিকা, জ্যামাইকা এবং হন্ডুরাসের মতো দলগুলো বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই করবে। তৃতীয় রাউন্ডে তিন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে। এখনো দ্বিতীয় রাউন্ডই শেষ হয়নি।

আর্জেন্টিনাসহ সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে প্রথম ছয়টি দল। বাকি পাঁচটি জায়গার লড়াইয়ে কাগজে–কলমে টিকে আছে সব দলই। তবে ইকুয়েডর, উরুগুয়ে, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও কলম্বিয়া সুবিধাজনক স্থানে আছে।

একটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে, যেটি পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। নিউ ক্যালেডোনিয়া আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে, যা ২০২৬ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হবে।

এ মাসেই শুরু হয়েছে বাছাইপর্ব। ১৬টি স্থানের জন্য ১২টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়ছে দলগুলো। তবে মার্চে মাত্র ৬টি গ্রুপের খেলাই শুরু হয়েছে। বাকি ছয় গ্রুপের খেলা শুরু হবে সেপ্টেম্বরে।