স্পেনের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্তে অটল হেরমোসো-পুতেয়াসরা
চুমু-কাণ্ডের পর কিছু ব্যবস্থা স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন নিয়েছে। স্পেনকে নারী বিশ্বকাপ জেতানো কোচ হোর্হে ভিলদাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্বকাপের ফাইনালের পর পুরস্কার মঞ্চে হেনি হেরমোসোর ঠোঁটে চুমু দেওয়া লুইস রুবিয়ালেস ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তাঁকে আদালতে পর্যন্ত যেতে হয়েছে।
এরপরও স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী মেয়েরা জাতীয় দলের হয়ে আর না খেলার সিদ্ধান্তে অটল। শুধু কোচ ভিলদার বরখাস্ত হওয়া বা রুবিয়ালেসের পদত্যাগ নয়। স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনে আরও কিছু পরিবর্তন চেয়েছিলেন পুতেয়াস-হেরমোসো-বোনমাতিরা। সেই পরিবর্তনগুলো না হওয়া পর্যন্ত স্পেন জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপ খেলা ২৩ খেলোয়াড়।
২২ ও ২৬ সেপ্টেম্বর উয়েফা নেশনস লিগে সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলার কথা স্পেন নারী দলের। এই দুই ম্যাচের আগে আজই দল ঘোষণা করার কথা ভিলদার জায়গায় স্পেনের মেয়েদের দায়িত্ব নেওয়া মোনৎসা তোমের। এর আগে একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে—বিশ্বকাপ জয়ী ২৩ ফুটবলার জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান না।
কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে স্পেনের নারী দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করা তোমে দল ঘোষণার আগে নিজেকে অদ্ভুত এক অবস্থায় আবিষ্কার করছেন। জানা গেছে, জাতীয় দলের হয়ে না খেলার ব্যাপারে অটল থাকার বিষয়টি বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়েরা আজই বিবৃতি দিয়ে জানাবেন।
ঘটনার শুরু মূলত ২০ আগস্ট। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সেদিন ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফিফা নারী বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। এরপর পুরস্কার মঞ্চে স্পেনের মিডফিল্ডার হেনি হেরমোসো পদক নেওয়ার সময় দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান রুবিয়ালেসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে তিনি তাঁর ঠোঁটে চুমু দেন।
এরপর স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতি রুবিয়ালেসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ফিফা। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফুটবলের কোনো কার্যক্রমে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষেও নানা মত আছে। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে গির্জায় অনশনে বসেছিলেন রুবিয়ালেসের মা। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন হেরমোসো। সেই সময় বিশ্বকাপজয়ী ২৩ জন খেলোয়াড়সহ মোট ৮১ জন এক চিঠিতে স্পেন জাতীয় দলের হয়ে আর খেলবেন না বলে জানিয়েছিলেন।
রুবিয়ালেস অবশ্য বলে আসছেন, চুমুর বিষয়টি ছিল পারস্পরিক এবং বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের আনন্দের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু হেরমোসো বিষয়টি পারস্পরিক নয় বলে উল্লেখ করেছেন।